কয়েকদিন আগেই রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ গিয়েছিল তৃণমূল কর্মীর (TMC)। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী সেই কর্মীর (TMC) পরিবারকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৃণমূল কর্মীর (TMC) পরিবারের কাছে পৌঁছে গেল চাকরির নিয়োগপত্র। এই নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। কীসের ভিত্তিতে চাকরি (TMC) দেওয়া হল, সেই নিয়ে তাঁরা জোর সওয়াল করেন।
রাজ্য সরকারের তরফে নিহত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল ও আহত গুরুপদ মণ্ডলকে বিকল্প শক্তি ভবনের অ্যাটেনডেন্ট পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। বুধবার সন্ধেয় নন্দীগ্রাম-১ ব্লক অফিসে চাকরিতে যোগদান করেন তাঁরা। বিডিও সৌমেন বণিক জানিয়েছেন সে কথা। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে বিজেপি আশ্রিতদের দুষ্কৃতীদের সশস্ত্র আক্রমণে খুন হন বিষ্ণুপদ। দাদা গুরুপদ মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল তাঁকে। পরিবারের মধ্যে একমাত্র বিষ্ণুপদ উপার্জন করতেন। কিন্তু স্বামীকে হারিয়ে দুই ছোট ছোট সন্তানকে নিয়ে কার্যত অথৈ জলে পড়েন তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল।
মৃতের স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডল ইতিমধ্যে চাকরিতে যোগদান করেছেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। নইলে যে কী হত আমাদের জানি না।” মৃতের দাদা গুরুপদ মণ্ডল বলেন, “ঘটনার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্বরা আমাদের দুই পরিবারের খোঁজ নিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী কথা রেখেছেন। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সুদীপ দাস বলেন, “এটা পারিবারিক হত্যা। মুখ্যমন্ত্রী ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক আছে। তবে বিজেপির দেবব্রত মাইতি, রথীবালা আড়িরা রাজনৈতিক ভাবে হিংসার শিকার হন। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন খুন করেছিলেন এদের। এই সকল কর্মীদের পরিবারের পাশেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাঁড়ানো উচিৎ।” তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।