শনিবার সকালে ঘুম থেকে চোখ মেলতেই দেখা মিললো বর্ষার আমেজ (winter forecasting)। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা জুড়ে চেলছে মাঝারি থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত। ফলে বৃষ্টির খোঁচায় অনেকটাই কাবু শীত। সকাল থেকে দেখা নেই রৌদের। কুয়াশার জেরে শহর থেকে একাধিক জেলায় কমেছে দৃশ্যমানতা। শনিবার একধাক্কায় প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে শুক্রবার রাতের তুলনায়। শুক্রবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকালে যা বেড়ে হয় ১৯.২ ডিগ্রি।
আলিপুর হাওয়াঅফিস সূত্রের খবর নিম্নচাপের ফলে আবহাওয়ার রদবদল। বর্তমানে নিম্নচাপের অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। ধীরে ধীরে উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম মুখী হয়ে তা অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগোবে।এছাড়া, আগামী ২৭ ডিসেম্বর উত্তর পশ্চিম ভারতের ঢুকবে ঝঞ্ঝা। বাংলাদেশ এবং রাজস্থান সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত।
শহর কলকাতার পাশাপাশি হুগলি, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর বর্ধমান সহ ঝাড়গ্রাম জেলাগুলি ভিজবে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা ২০০ থেকে ৫০ মিটার পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা। কালিম্পং ও সিকিমে শনিবারে রয়েছে তুষারপাতের সম্ভাবনা। তবে এখনই শীত তেমন জাঁকিয়ে বসার সম্ভাবনা দেখছে না হাওয়াঅফিস। এমনকি ২৫ ডিসেম্বর শীতের আমেজ থেকে বঞ্চিত হতে পারে রাজ্যবাসী। তবে আগামী কিছু দিন আবহাওয়া একরকম থাকলে ৫দিন পর থেকে শীতের ঠান্ডা উপভোগ করতে পারবেন রাজ্যবাসী।