বৃহস্পতিবার প্রকাশিত মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের নির্বাসন (US Migrants Deports) বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও গত অর্থবছরে ২,৭১,০০০ এরও বেশি অভিবাসীকে আমেরিকা থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। সীমান্ত অতিক্রমের ক্রমবর্ধমান ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বছর মুক্তি পাওয়া অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় এক দশকের মধ্যে নির্বাসিত অভিবাসীদের (US Migrants Deports) বৃহত্তম সংখ্যা, যা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের চেয়ে বেশি। মনে হচ্ছে বাইডেন প্রশাসন কর্তৃক নির্বাসনের প্রবাহ একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়ার কারণে হয়েছে। আইসিই রিপোর্টটি ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে আসে।
৮২% অভিবাসী সীমান্ত রক্ষীদের দ্বারা গ্রেপ্তার হয়
২০২৪ সালে বেশিরভাগ নির্বাসন অবৈধ অভিবাসীদের (US Migrants Deports) সাথে সম্পর্কিত ছিল যারা দেশের অভ্যন্তরে গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের তুলনায় সীমান্ত রক্ষীদের দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েছিল। নির্বাসিত অভিবাসীদের প্রায় ৮২ শতাংশ সীমান্ত রক্ষীদের দ্বারা গ্রেপ্তার হয়েছিল।
আসন্ন প্রশাসনের জাতীয় প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, বাইডেনের নির্বাসনের (US Migrants Deports) সংখ্যা তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যার চেয়ে দুর্বল। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসন ও জাতীয় নিরাপত্তার দুঃস্বপ্নের সমাধান করবেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অবৈধ বহিরাগতদের (US Migrants Deports) বৃহত্তম গণ নির্বাসন অভিযান শুরু করে জো বাইডেন তৈরি করেছিলেন।’
মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের সংখ্যা ২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন
ইউএস কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) অনুসারে, ২০২০ সালের পর থেকে ইউএস-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীদের (US Migrants Deports) সংখ্যা সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। যদিও ট্রাম্প ব্যাপক নির্বাসনকে তার আসন্ন প্রশাসনের মূল ভিত্তি করে তুলেছেন, তবুও অভিবাসন ব্যবস্থা এখনও বাজেটে ২৩০ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতি সহ “দ্রুত চলছে”। আর এই ঘাটতির অর্থ হতে পারে ট্রাম্পকে তার “গণ নির্বাসন” পরিকল্পনা বিলম্বিত করতে হবে।