সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান। সেখানে (Sandeshkhali) গিয়ে কার্যত তিনি ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্দেশখালি (Sandeshkhali) সফরের আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় (Sandeshkhali) হিন্দুদের অভিযোগ, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অপরপ্রান্তে অর্থাৎ খুলানাপাড়ে বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ মুসলিম শরণার্থীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ে। তাঁরা (Sandeshkhali) অভিযোগ করেন, যাঁরা অবৈধভাবে বাংলাদেশে ভারতে প্রবেশ করছেন, তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ থাকতে পারে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) হিন্দুদের দাবি, অবিলম্বে নতুন বসতি এলাকায় বসবাসকারীদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হোক।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালির স্থানীয় এক মহিলা বলেন, ‘আমার ওখানে দোকান আছে। খুলনাপাড়ে অচেনা অজানা লোকের যাতায়াত লেগেই থাকে। যাদের দেখে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ হয়। অনেকের গতিবিধি দেখে মনে হয় তাদের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগ থাকলেও থাকতে পারে। এব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপর হওয়া উচিত।’ মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, ‘বছর দশেক আগেও ওখানে ওরা ২ – ৩ ঘর ছিল। ২০১৮ সালের পর থেকে লাফিয়ে বসতি বাড়তে থাকে। ওরা বলে যারা এসেছে তারা ওদের আত্মীয়। কিন্তু তারা যে বাংলাদেশ থেকে এসেছে এব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।’
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে সভা করেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী কখনও পরোক্ষে বা কখনও প্রত্যক্ষভাবে নাম তুলে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। সোমবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই ভালো থাকবেন। আর মিলে মিশে থাকবেন। কোনও দুষ্টু লোকের খপ্পরে পড়বেন না। আর মনে রাখবেন, কোনও মেয়েরা কেউ ডাকল আর চলে গেল সেটাও যাবেন না। আর যদি কেউ আপনাকে ভুল বোঝায়, মিথ্যে কথা বলে… আমি জানি এখানে অনেক টাকার খেলা হয়েছে। পরে দেখলেন তো সবটাই ভাঁওতা। মিথ্যা বেশি দিন চলে না। মিথ্যেটা একদিন প্রকাশ পেয়ে যায়। বিজেপির চক্রান্ত তো আপনারা জানেন। ওদের অনেক টাকা আছে। রামকৃষ্ণ পরমহংস দেব বলতেন ওরে টাকা মাটি, মাটি টাকা। এগুলো মানুষের টাকা নয়, এগুলো অন্যায়ের টাকা। বিজেপির টাকায় হাত দেবেন না।’