নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: এক নিরাপত্তারক্ষীকে সঙ্গে করে গাড়িতে বাক্স ভর্তি টাকা নিয়ে এটিএমে টাকা ভরতে বেরিয়েছিলেন এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। বাক্স থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে এটিএম-কাউন্টারে টাকা ভরতে ঢোকেন ওই বেসরকারি সংস্থার কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষী। বাইরে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন গাড়ির চালক। টাকা ভরে এটিএম কাউন্টার থেকে বেরোতেই দুজনের চক্ষু চড়কগাছ। তাঁরা দেখেন বাইরে গাড়ি নেই। গাড়ি নিয়ে উধাও চালক। তাকে ফোন করলে সুইচ অফ শোনা যায়। সাথে সাথে ওই ঘটনার কথা অফিসে জানাতেই থানায় যোগাযোগ করতে বলে সংস্থার ওই কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীকে। অফিস থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই ওই দুই কর্মী থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন, তাঁদের গাড়িতে একটি বড় অ্যালুমিনিয়ামের বাক্স ছিল যেটার থেকে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা এটিএম কাউন্টারে ভরা হয়েছ এবং বাকি ৮৫ লক্ষ টাকা সমেত গাড়ি নিয়ে উধাও হয়েছে গাড়ির চালক। চালকের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ, শ্যামনগরের আতপুর নিমতলা মোড়ে একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকের এটিএমে।
পুলিশ সূত্রের খবর,দায়িত্বে থাকা একটি বেসরকারি সংস্থা ইউনিয়ন ব্যাংকের এটিএমে টাকা ভরতে বেরোয় মারুতি কোম্পানির ইকো গাড়ি নিয়ে। একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং ওই সংস্থার এক কর্মী সহ পুরনো গাড়ি চালককে নিয়ে বিভিন্ন এটিএম এ টাকা ভরার জন্য একটি অ্যালুমিনিয়াম বাক্সে মোট ৮৯ লক্ষ টাকা নিয়ে বের হন । বুধবার অর্থাৎ ছাব্বিশে আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ শ্যামনগর আতপুর নিমতলা মোড়ে এটিএমটিতে ঢোকেন সংস্থার কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষী চার লক্ষ টাকা নিয়ে।গাড়িতে থাকা অ্যালুমিনিয়াম বাক্সে তখনও ৮৫ লক্ষ টাকা মজুত ছিল এবং গাড়িচালক বাইরে অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এটিএম কাউন্টারের কাজ শেষ করে বাইরে বের হতেই দেখেন গাড়ি এবং গাড়ির চালক উধাও। বারবার তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি ওদিক থেকে শোনাচ্ছিল সুইচ অফ। সাথে সাথেই দায়িত্বে থাকা ওই বেসরকারি সংস্থাকে ফোন করে জানায় ওই সংস্থার কর্মী। অফিস থেকে নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই জগদ্দল থানা অভিযোগ জানাতে ছোটেন ওই কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষী।অভিযোগ পাওয়ার পরেই জগদ্দল থানার পুলিশ ব্যারাকপুর কমিশনারেট এর গোয়েন্দা বিভাগে যোগাযোগ করলে গোয়েন্দাদের পরামর্শমতো রাস্তার প্রতিটি মোড়ের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করতে শুরু করে এবং চালকের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করতে শুরু করে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গাড়িচালকের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে এবং নিজেদের সোর্সের মাধ্যমে বুধবার গভীর রাতে বীজপুর এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে বীজপুর থানার পুলিশ। তবে গাড়ির চালক এবং ওই অ্যালমনিয়ামের বাক্সে থাকা ৮৫ লক্ষ টাকার কোনও হদিস মেলেনি।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই সংস্থায় কাজ করা পলাতক গাড়ির চালক নদীয়া জেলার গয়েশপুরের বাসিন্দা।