অনেক আগে থেকেই সন্দেশখালিতে শুভেন্দু অধিকারীর (BJP) সভার কথা ছিল। কিন্তু সন্দেশখালির পুলিশ বিজেপিকে (BJP) প্রশাসনিক বৈঠক করার অনুমতি দিল না। সন্দেশখালির ত্রিবণি বাজারে প্রশাসনিক বৈঠকের অনুমতি চেয়ে বিজেপি (BJP) পুলিশকে চিঠি লিখেছিল। কিন্তু সন্দেশখালির পুলিশ সেই বৈঠকের (BJP) অনুমতি দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির (BJP) তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে সভা হবেই। নির্ধারিত সময়ে সেখানে পৌঁছাবেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে অশান্তি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক বৈঠকের ঘোষণা করা হয়। তারপরেই বিজেপির তরফে তার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে পাল্টা বৈঠক করার ঘোষণা করা হয়। সেই অনুযায়ী বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি শুরু করে দেন। তিন দিন আগেই বিজেপির তরফে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তে পুলিশ বিজেপির সভার অনুমতি বাতিল করে দেয়। তবে বিজেপির তরফে জানানো হয়, সভা হবেই।
পুলিশের তরফে সভার অনুমতি না দিলেও, তা বন্ধ করার কোনও চেষ্টা করা হয়নি। বরং ফেরিঘাট থেকে সভাস্থল পর্যন্ত সর্বত্র ছিল পুলিশে ছয়লাপ। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার কোনও আয়োজন দেখা যায়নি। সন্দেশখালিতে বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক বেড়মজুরে বিজেপি সমর্থকদের হুমকি দিয়ে বলেছেন শুভেন্দুর সভায় গেলে পরে ফল ভুগতে হবে। আমরা সেই সব সমর্থকদের সভায় আনার চেষ্টা করছি।’ বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস বলেন, ‘পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে সভার অনুমতি দেবে না। এর পর ওরা আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটা করে কেস করবে। আর তো কিছু করার ক্ষমতা ওদের নেই।’