ভারত ও বাংলাদেশ জলসীমা নিয়ে চলমান (Fishermen) টানাপোড়েনের মধ্যে আজ বঙ্গোপসাগরে আটক হওয়া দুই দেশের মৎস্যজীবীদের (Fishermen) ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শনিবার ও রবিবার এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পরিচালনা (Fishermen) করা হবে।
ভারত থেকে ফিরবেন ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
শনিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ থেকে ১২ জন এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৭৮ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে হলদিয়ায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজে করে তাঁদের ভারত-বাংলাদেশ জলসীমায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ থেকে ফিরবেন ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী
বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা নিজেদের ট্রলার নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ এবং নামখানায় ফিরবেন। গত অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ জলসীমা অতিক্রম করায় তাঁরা আটক হন এবং তাঁদের ৬টি ট্রলার জব্দ করা হয়েছিল।
মৎস্যজীবীদের পরিবারের জন্য স্বস্তি
প্রশাসনের সূত্র অনুযায়ী, রবিবার দেশে ফেরার পর ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গঙ্গাসাগরে নিয়ে আসা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং পরিবারের উদ্বেগ দূর করবেন।
ভারত বাংলাদেশের টানাপোড়েন
হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হতে থাকেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা থেকে উপদেষ্টাদের মুখে তীব্র ভারত বিরোধী মন্তব্য উঠে আসতে থাকে। একাধিক রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে ভারতীয় পণ্য পুড়িয়ে দেয়। ভারতীয় পণ্য বিসর্জনের স্লোগান দিতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার।
এই উদ্যোগ ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে মানবিক দিককে তুলে ধরেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে এই প্রত্যাবাসন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে।