বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে জেলবন্দি জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার তারিকুল ইসলামের (Bangladeshi) প্রথম দফার জেরা সম্পন্ন করেছে এসটিএফ। সূত্রের খবর, তারিকুল (Bangladeshi) এবং অন্য অভিযুক্ত মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় তদন্তকারী দল। এজন্য তাদের (Bangladeshi) নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তারিকুল ইসলাম জেলে বসেই তার নেটওয়ার্ককে সক্রিয় রেখেছিলেন। তিনি মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলিদের নির্দেশ দিতেন, যারা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে সন্দেহ। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং জেএমবি (জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ) কীভাবে সমন্বয়ে কাজ করত, সে বিষয়ে তথ্য পেতে চাইছে গোয়েন্দারা।
মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়েছিল আব্বাস আলি এবং পরে মিনারুল শেখকে। এরপর নওদা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় সাজিবুল ইসলাম এবং মোস্তাকিম শেখকে। এদের জিজ্ঞাসাবাদেই উঠে আসে তারিকুল ইসলামের নাম। তারিকুলের নির্দেশে এই জঙ্গি নেটওয়ার্ক পরিচালিত হত বলে জানা গিয়েছে।
এসটিএফ তদন্তকারীরা একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। বিশেষত, কীভাবে জেএমবি এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একযোগে কাজ করত এবং কী ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা চলছিল। এসব জানতে তারিকুল এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি এবং সেখানকার জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এই জঙ্গি মডিউলের সংযোগ রয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।এই মামলায় তদন্তের অগ্রগতি এবং অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রক্রিয়ার দিকে এখন নজর রয়েছে। গোয়েন্দারা আশা করছেন, এই জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও বড় ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস হতে পারে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের একাধিক জঙ্গিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ভারতে পরিচয়পত্রের একাধিক জাল নথি জঙ্গি সন্দেহে আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখা ও জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকর ঘটনায় পুলিশ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।