মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যের নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দিকে। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল এদিন (Supreme Court)। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মামলার শুনানি পিছিয়ে দেয়, যা চাকরিহারা শিক্ষকদের হতাশা আরও বাড়িয়েছে (Supreme Court)।
সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি হবে ১৫ জানুয়ারি। আদালত এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সমস্ত পক্ষকে ওই দিন হলফনামা জমা দিতে হবে। চাকরি বাতিল হওয়া ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা ২৪ ঘণ্টার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তাঁদের হতাশা আরও বেড়েছে। তবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন আন্দোলনকারীরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন, “আমাদের আন্দোলন ততদিন চলবে, যতদিন না আমরা ন্যায়বিচার পাচ্ছি। সুপ্রিম কোর্টের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।” আরেকজন বলেন, “এই লড়াই আমাদের জন্য মরণ-বাঁচনের। লড়াই থামানো সম্ভব নয়।” এক মহিলা আন্দোলনকারী বলেন, “শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আমরা হতাশ। এর মানে আমাদের অসম্মানের দিন আরও বাড়ল। এই রাজপথ ছাড়ব না।” চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী ফিরদৌস বলেন, “বেঞ্চ কম্পোজিশন বদল হওয়ায় পুরো বিষয়টি নতুন করে শোনাতে হতো। সেই তুলনায় তারিখ পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি করা হয়েছে, যা ভালো সিদ্ধান্ত।” এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
গত বছর ২২ এপ্রিল, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে। রায়ে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন ২৫,৭৫৩ জন। তাঁদের বেতন ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে বলা হয়। তবে প্যানেল বাতিলের ফলে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরাও চাকরি হারান। সিবিআই-এর রিপোর্টে ৫,০০০-এর বেশি নিয়োগে দুর্নীতি উঠে এসেছে। প্রধান বিচারপতি আগের শুনানিতে পুরো প্যানেল নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এদিন ছিল বঞ্চিতদের বক্তব্য পেশ করার দিন। শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের হতাশা যেমন বেড়েছে, তেমনই অপেক্ষার সময়ও বাড়ল। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা রাজপথ ছাড়বেন না।