মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Leader) দুলাল ওরফে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন। গ্রেপ্তারির পর তিনি (TMC Leader) জানান, “আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে বড় মাথা।” তাঁর (TMC Leader) এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মালদহ জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি, বাবলা সরকার খুনের পর থেকে পুলিশ দ্রুত তদন্তে নামে। ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মঙ্গলবার, তৃণমূলের মালদহ টাউন সভাপতি এবং হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং তাঁর দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ ও অখিলেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় পুলিশ। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার সকালে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মা নামে আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭।
গ্রেপ্তারির পর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দাবি করেন, “গোটাটাই চক্রান্ত। আমাকে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনায় জড়ানো হয়েছে। খুনের নেপথ্যে বড় মাথার হাত রয়েছে।” তবে তিনি কাকে এই “বড় মাথা” বলে আক্রমণ করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে এই বিষয়ে কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
২ জানুয়ারি সকালে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন কাউন্সিলর বাবলা সরকার। পাইপলাইন মোড়ে তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নামতেই বাইকে আসা চার দুষ্কৃতী তাঁকে ধাওয়া করে। বাঁচার জন্য তিনি একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা দোকানের ভিতরে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির “বড় মাথা”র তত্ত্ব এখন তদন্তে নতুন দিক উন্মোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করছে। মালদহের রাজনৈতিক মহলেও এই বক্তব্য ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের কেউ কি এর পেছনে? নাকি এটি সম্পূর্ণ অন্য কোনো ষড়যন্ত্র? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।