বাংলাদেশের পাশাপাশি এবার নেপাল সীমান্তেও (Tension in Border) জঙ্গি নেটওয়ার্ক সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। নেপাল হয়ে ভারতে (Tension in Border) অনুপ্রবেশ ও জঙ্গি কার্যকলাপের অভিযোগ আরও জটিল আকার নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের আকস্মিক নেপাল সীমান্ত (Tension in Border) সেই প্রশ্নকে আরও উসকে দিয়েছে।
সিকিম যাওয়ার পথে পাণিট্যাঙ্কি এলাকায় নেপাল সীমান্ত ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সীমান্তে মোতায়েন এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল) জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে এবং সীমান্ত সুরক্ষার বিষয়ে সরাসরি তথ্য জানতে বেশ কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে এসএসবি চৌকসভাবে কাজ করছে। নেপাল ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় সীমান্ত দিয়ে নাগরিকদের চলাচল অবাধ।” তবে নেপাল সীমান্তে কোনও বড় বিপদ lurking কিনা, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রভাব ইতিমধ্যেই ভারতের সীমান্ত এলাকায় পড়েছে। এপার বাংলায় বাংলাদেশি ও কাশ্মীরি জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, নেপাল সীমান্তে নজরদারির গুরুত্ব বাড়ছে। বাংলাদেশ ও নেপাল সীমান্তে বিএসএফ এবং এসএসবি চৌকস নজরদারি চালাচ্ছে বলে দাবি করছে কেন্দ্র। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু অনুপ্রবেশ ও জঙ্গি কার্যকলাপের ঘটনার পরও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-নেপাল উন্মুক্ত সীমান্ত আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশ্ন তুলছে। এই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ কার্যকলাপ বাড়ছে কিনা এবং জঙ্গি নেটওয়ার্ক নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে দিল্লি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সতর্ক। নেপাল সীমান্তে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সফর এবং সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের গুরুত্ব, ভবিষ্যতে নতুন কৌশল নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এই রিপোর্ট নতুন করে যে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে, নদিয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি জঙ্গিরা ভারতে প্রবেশ করছে। পাশাপাশি পানিট্যাঙ্কি মোড় হয়ে নেপাল থেকে শিলিগুড়ি হয়ে ভারতে প্রবেশ করছে জঙ্গিরা। বাংলা যেন তরুপের তাসে পরিণত হয়েছে।