সমীর সাহা, নদিয়া: করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারিভাবে চলছে লকডাউন। সোমবার ছিল সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম লকডাউন। সকাল থেকে নদিয়ার রাস্তাঘাটও শুনশান, বন্ধ বাজারহাট, দোকানপাট। ফলে সমস্যায় পড়েছেন রাস্তার ভবঘুরে মানুষগুলো।
অর্থাৎ যাদের প্রতিদিন লোকের কাছে হাত পেতে পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতে হয়। যাদের রাত্রিযাপন করতে হয় রাস্তার রকে, বা অন্য কারও বারান্দা, রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম বা রাস্তার ধারে কোন প্রতীক্ষালয়ে। নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে এরকমই ভবঘুরে মানুষদের দুটো খাবার ব্যবস্থা করল স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
তারাই ওই সব মানুষদের লকডাউনের শুরু থেকেই দু’মুঠো ভাত, ডাল, তরকারি, পনির ইত্যাদি খাবার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন। নিজে হাতে পাত পেতে পরিবেশন করছেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পুরুষ এবং মহিলা সদস্যরা।
সোমবার লকডাউনে ওদের জন্য তৈরি করা হয়ে ছিল ভাত, ডাল, আলুর চিপস, সোয়াবিন এবং পনির তরকারি সঙ্গে এক বোতল বিশুদ্ধ পানীয় জল। আর এই খাবার খেয়ে খুবই খুশি তাঁরা। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক সদস্যা সুপর্ণা চৌধুরী জানান, লকডাউনে হোটেল, খাবারের দোকান সবই বন্ধ থাকে।
…………………Advertisement………………
সমস্যায় পড়েন এই লোকগুলো যাদের কোনো স্থায়ী কোন আস্তানা। যাদের লোকের বাড়ির বারান্দা, রেলওয়ে স্টেশন বা কোন ছাউনির নিচে প্রতিদিনই বসবাস করতে হয়। তাদেরকেই লকডাউন শুরু থেকে দুপুরের দুমুঠো খাবার জুটিয়ে চলেছেন সুপর্ণারা।
তিনি জানান, এই কাজ করতে খুব ভালো লাগে এবং তৃপ্তি পান। অন্যান্য দিন হোটেল, দোকানপাট, খাবারের দোকান খোলা থাকলেও কিছু না কিছু খাবার জুটে যায় ওদের। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি নির্দেশে মাঝে মধ্যে চলছে লকডাউন। খাবারের দোকান, হোটেল সব বন্ধ। রাস্তায় লোকজন নেই।