সদ্য জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেছেন তৃণমূলের একসময়ের দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। তবে ফেরার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন তিনি (Arabul Islam)। তৃণমূল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর এবার তাঁর (Arabul Islam) বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন দলেরই আরেক নেতা।
তৃণমূল নেতা ও ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আহছান মোল্লা অভিযোগ করেছেন, আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ নম্বর বিডিও অফিসে জমি রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কাজে গেলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। আহছান মোল্লার অভিযোগে আরাবুল, হাকিমুলসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবারই তৃণমূল কংগ্রেস আরাবুল ইসলামকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নেওয়া হয়েছে। আরাবুলের বিরুদ্ধে পরপর ব্যবস্থা নেওয়াকে ঘিরে বিরোধীরা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে নিশানা করেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল দলে যাঁরা পুরনো নেতা, যাঁরা গোড়া থেকে দলের জন্য কাজ করেছেন, তাঁরা আজ কোণঠাসা। আরাবুল ইসলাম ভাঙড়ে কতটা সক্রিয় ছিলেন, তা সবাই জানে। অথচ আজ তাঁকেই ব্রাত্য করা হচ্ছে।”
আরাবুলের সমর্থকরা এই পদক্ষেপকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও আরাবুল ইসলামের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের দাবি, একসময় ভাঙড়ের রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়ানো আরাবুল ইসলামের পতন তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত। তবে দলনেত্রী ও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই বিষয়ে আরও কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে তীব্র জল্পনা চলছে।