মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনের (Saline death) গুণগত ত্রুটি থেকে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনায় মৃত্যু হল এক প্রসূতির। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও চারজন (Saline death)। অভিযোগ, বিষাক্ত স্যালাইনের (Saline death) ব্যবহারেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার (Saline death) পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, এবং শুরু হয়েছে বিক্ষোভ(Saline death) । চার প্রসূতির মধ্যে তিন জন প্রসূতিকে সিসিইউতে রয়েছেন (Saline death)। একজন জেনারেলে। সিসিইউতে থাকা তিন জনের মধ্যে একজনের অবস্থা সব থেকে গুরুতর(Saline death) । তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে(Saline death) ।
মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে বিক্ষোভে নামে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। একই সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসও পথে নেমে প্রতিবাদ জানায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
স্বাস্থ্যভবন ঘটনার গুরুত্ব বুঝে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছে। স্যালাইনের নমুনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চ “জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স” এক বিবৃতিতে সাত দফা দাবি জানিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে।
চিকিৎসক সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে- নিম্নমানের স্যালাইনের সব বোতল রোগী ও চিকিৎসক-নার্সদের উপস্থিতিতে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। স্যালাইন সরবরাহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চালাতে হবে। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালের সরবরাহকৃত চিকিৎসা সামগ্রীর গুণমান নিরীক্ষা করতে হবে। বামপন্থী দল ও কংগ্রেস সরাসরি রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের দাবি, বাতিল হওয়া স্যালাইন কীভাবে সরকারি হাসপাতালগুলিতে পৌঁছাল, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
এই ঘটনার পর রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীরা দাবি করছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও নজরদারি প্রয়োজন। প্রসূতির মৃত্যু এবং আরও চারজনের অসুস্থতার ঘটনায় শোকস্তব্ধ রোগীর পরিবার। স্বাস্থ্যভবনের তদন্ত রিপোর্ট এবং পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রয়েছে রাজ্যের মানুষ ও রাজনৈতিক মহলের।