বিষ স্যালাইনকাণ্ড (Saline death) নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের গ্রেফতারের (Saline death) দাবি তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে (Saline death) জাল ওষুধ সরবরাহ করে গরিব মানুষদের প্রাণ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টর মুকুল ঘোষের (Saline death) সঙ্গে কালীঘাটের যোগের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
হাওড়ায় একটি রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, ২০২২ সালে টেন্ডার শেষ হওয়ার পরও ব্ল্যাকলিস্টেড একটি কোম্পানিকে দিয়ে নতুন করে টেন্ডার করানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। শুভেন্দুর বক্তব্য, “নারায়ণস্বরূপ নিগমকে গ্রেফতার করতে হবে। এই কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের ডিরেক্টরেরও প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। টাকার বিনিময়ে জাল ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।”
শুভেন্দু জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)-র মাধ্যমে তদন্তের অনুরোধও করেছেন।বিষ স্যালাইনকাণ্ড নিয়ে সিপিএম নেতা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “তদন্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের নৈতিক দায়িত্ব অপরাধীদের চিহ্নিত করা।” বিষ স্যালাইন ব্যবহারে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। আরও তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে দু’জনকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রসূতিদের বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রশ্ন উঠছে, নিষিদ্ধ স্যালাইন কীভাবে মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আরও সাতটি ওষুধের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুভেন্দুর এই বক্তব্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কেন্দ্রের নজর আরও তীব্র করবে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু, যা রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।