মালদহে তৃণমূল কর্মী (TMC Worker Murder) হাসা শেখের নৃশংস খুনের ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রকাশ্য রাস্তায় দুই তৃণমূল কর্মীর ওপর গুলি চালানোর (TMC Worker Murder) পর, হাসা শেখের মাথায় ইট দিয়ে (TMC Worker Murder) আঘাত করে নিশ্চিত করা হয় তাঁর মৃত্যু। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ভিডিয়ো (TMC Worker Murder) দেখেই শিউরে উঠছেন সবাই। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে হাসা শেখ ধীরে ধীরে নিঃশেষ (TMC Worker Murder) হয়ে পড়ছেন।
মালদহের সুজাপুরের বিধায়ক আব্দুল গনি এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “ওখানে একটি গোষ্ঠী চলছে। বকুল অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির নেতার মধ্যে সমস্যা ছিল। এই ঘটনার পিছনে আসল মাথা সেরিউল শেখ।” বিধায়ক গনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত দুর্বল। অনেক সময় অভিযোগ দায়ের করতেও বাধা আসে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিন তৃণমূল কর্মী এসারুদ্দিন শেখ, হাসা শেখ এবং বকুল শেখ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই কালো সোয়েটার এবং টুপি পরা হামলাকারীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে গুলি ছোড়া হয়, পরে হাসা শেখকে ইট দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা মালদহে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকরকেই আবারও সামনে আনল। এর আগে দুলাল সরকারের খুনের ঘটনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। ১২ দিনের ব্যবধানে এই নতুন খুন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে জনগণের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। এই ঘটনার তদন্তে কীভাবে এগোবে প্রশাসন এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেটাই এখন দেখার।