South Korea: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গ্রেফতার, সামরিক আইন প্রয়োগের অভিযোগে পদক্ষেপ

দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইয়োলকে বুধবার (South Korea) আইন প্রয়োগকারী আধিকারিকরা অভিশংসনের পরে গ্রেপ্তার করেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতিকে আটক করা হল। তার গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি অভূতপূর্ব অগ্রগতি এবং সম্ভবত দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলবে।

রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের (South Korea) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়েছিল। সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ রাষ্ট্রপতিকে আটক করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই পদক্ষেপটি দেশে রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং জনসাধারণের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।

সামরিক আইন আরোপের প্রচেষ্টা দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) অভিশংসিত রাষ্ট্রপতি ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ যে তিনি সামরিক আইন আরোপ করার জন্য তাঁর কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছিলেন, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র সমালোচনা করেছে। অভিশংসনের পর থেকে দেশে অস্থিতিশীলতার পরিবেশ ছিল, যা এখন তাঁর গ্রেপ্তারের সাথে আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে।

বুধবার সকালে এক হাজারেরও বেশি দুর্নীতি দমন তদন্তকারী এবং পুলিশ আধিকারিক ইউন সুক ইওলের বাড়িতে আসেন। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রবেশ থেকে বিরত রাখতে তাঁর বাড়ির চারপাশে ব্যারিকেড স্থাপন করা হয়েছিল। তবে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিতে একটি নাটকীয় মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ইউন সুক ইয়োলের গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অনেক দেশই এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) গণতন্ত্রের পরীক্ষা হিসেবে দেখেছে। এই গ্রেপ্তার দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং ভবিষ্যতে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) ইতিহাসে এই প্রথম কোনও বর্তমান প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হল। এই ঘটনা শুধু দেশের বিচার ব্যবস্থার শক্তিই দেখায় না, বরং এটাও দেখায় যে, তারা যে অবস্থানেই থাকুক না কেন, আইনের চোখে সবাই সমান।