রবিবার রাতে ফের উত্তপ্ত হল ভাঙড় (Bhangar)। জুয়ার আসরে হানা দিতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে (Bhangar)। ঘটনায় শাসকদলের কর্মীদের নাম জড়িয়েছে (Bhangar)। দু’জন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ (Bhangar)।
ভাঙড় থানার শাকশহরে চলছিল একটি মেলা। সেখানে জুয়ার আসর বসেছে বলে খবর পায় পুলিশ। রাতেই ভাঙড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে হানা দেন। অভিযোগ, পুলিশ পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ জুয়ার আসর বন্ধ করে কয়েকজনকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা বাঁশ ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
ঘটনায় ভাঙড় ১ পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি এম এম শফি আহমেদ ওরফে শুভর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দাবি, তাঁদের সঙ্গে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও মারধর করা হয়েছে। আহত পুলিশকর্মীদের নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
তৃণমূলের ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেলার বিষয়ে আমি জানি, তবে এই ঘটনা আমার বিধানসভা এলাকার নয়।” পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে ভাঙড় থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শাসকদলের কর্মীদের এই ভূমিকা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ভাঙড় বারবার রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। থানা কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হলেও, বারবার এমন ঘটনা প্রমাণ করছে সমস্যার সমাধান হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, ফের পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। ইসলামপুরে প্রিজন ভ্যান থেকে আসামী গুলি করে পুলিশকে আহত করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় দুই পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন। আসামী সাজ্জাক পুলিশের এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করেছিল সাজ্জাক, সেই সময় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয়। তাতেই সাজ্জাকের মৃত্যু হয়।