মেদিনীপুর মেডিক্যাল (Medinipur medical) কলেজে এক প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সাসপেন্ড হওয়া ৭ জুনিয়র ডাক্তার কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। সাসপেনশন প্রত্যাহারের (Medinipur medical) জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার পর রাজ্য প্রশাসন থেকে মৌখিক আশ্বাস পাওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা। এরপরই নিজেদের কর্মবিরতি (Medinipur medical) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযোগ উঠেছিল, ‘বিষাক্ত’ রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ফলে এক প্রসূতির মৃত্যু হয় এবং আরও তিনজন প্রসূতিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ৭ জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সাসপেনশনের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা তিনদিন ধরে আংশিক কর্মবিরতি পালন করেন এবং অবস্থান শুরু করেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাঁরা সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, “আমরা শিক্ষানবীশ এবং সিনিয়রদের নির্দেশ মেনেই কাজ করেছি। সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হোক।”
ঘটনার তদন্তে সিআইডি-র প্রতিনিধি দল পরপর দুই দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে উপস্থিত ছিলেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন তাঁরা। এরপরই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ডাক্তারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে আগের মতোই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করবেন তাঁরা।
এ ঘটনায় চিকিৎসক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একদিকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি সমর্থন করেছেন অনেকে, অন্যদিকে রোগীদের জীবন নিয়ে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সতর্ক করেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত জারি রয়েছে। তবে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ফলে মেদিনীপুর মেডিক্যালের পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।