বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে এক নাবালিকার ওপর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মুদিখানা দোকানদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চকোলেট কিনতে দোকানে (Birbhum) যাওয়া নাবালিকাকে দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দোকানদার পলাতক (Birbhum) । পুলিশ তার দাদাকে আটক করেছে (Birbhum)।
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত দোকানদারের দোকান ভাঙচুর করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা চকোলেট কিনতে একটি মুদিখানা দোকানে গিয়েছিল। অভিযোগ, সেই সময় দোকানদার তাকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় এবং নির্যাতন করে।
ঘটনাটি নজরে আসে উল্টো দিকের একটি বাড়ির এক মহিলার। তার দাবি, নাবালিকাকে দোকানে ঢুকতে দেখলেও অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাকে বের হতে দেখা যায়নি। এদিকে দোকানদার ক্রেতাদের সামগ্রী দিতে বারবার বাইরে আসছিল। এতে সন্দেহ হওয়ায় তিনি নাবালিকার খোঁজ নিতে তার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে নাবালিকার কান্নাজড়িত অবস্থায় সব ঘটনা জানার পর তিনি বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
ঘটনা প্রত্যক্ষ করা ওই মহিলা বলেন, “দোকানদারকে বাচ্চাটার পিঠে হাত বোলাতে দেখেছি। পরে বাচ্চাটিকে দীর্ঘক্ষণ না দেখে সন্দেহ হয়। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি, কিন্তু সে অস্বীকার করে। পরে নাবালিকার বাড়ি গিয়ে পুরো ঘটনা জানতে পারি। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত দোকানদার পলাতক থাকায় তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
এই ঘটনায় সিউড়ি এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। তারা একজোট হয়ে অভিযুক্তের দোকান ভাঙচুর করেছে এবং দ্রুত অভিযুক্তের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমন ঘটনায় সিউড়ি জুড়ে আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।