শীত যতই বিদায়ের পথে, কুয়াশার দাপট ততই বাড়ছে (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ঘন কুয়াশার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কৃষকরা (Weather Update)। আলু চাষে বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা (Weather Update)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী (Weather Update), কুয়াশার এই দাপট এখনই কমছে না। বরং শনিবার সকাল থেকে নয় জেলায় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বেশ কিছু এলাকায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে আসতে পারে। বাঁকুড়া শহর ও আশপাশের এলাকায় শনিবার ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা একেবারে তলানিতে। এর প্রভাব পড়েছে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে যান চলাচলে। গাড়ি চলছে ধীর গতিতে, ট্রেন চলাচলেও আংশিক প্রভাব পড়েছে। সকালে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকাই ছিল।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে এবং দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শীতপ্রেমীদের জন্য আশার খবর শোনাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। উত্তুরে হাওয়ার ফের আসার ফলে শনিবার বিকাল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে। ২৬ জানুয়ারির পর থেকে পারদ ফের নামতে শুরু করবে। মঙ্গলবারের মধ্যে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা কম।
শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৭ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
ঘন কুয়াশার কারণে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কুয়াশার কারণে আলু গাছের উপর ছত্রাকের আক্রমণের সম্ভাবনা বেড়েছে। এর ফলে উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি চাষিদের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের মানুষ। কুয়াশার সঙ্গে মোকাবিলা করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও ফসল রক্ষা করতে প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।