ফের আইনি জটে সন্দীপ ঘোষ (Sandeep Ghosh)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের অনুমতি মিলেছে সদ্য (Sandeep Ghosh)। সিবিআই দ্রুত চার্জ ফ্রেম করতে চাইলেও আদালতের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন তিনি (Sandeep Ghosh)। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই আর্জি খারিজ করে দেন (Sandeep Ghosh)। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চার্জ গঠন করতে হবে (Sandeep Ghosh)।
ধর্ষণ ও খুনের মামলায় জামিন পেলেও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এখনও জেলবন্দি সন্দীপ ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে চার্জ গঠনের অনুমতির জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সাড়া না মেলায় মামলার অগ্রগতি আটকে ছিল। অবশেষে স্বাস্থ্য ভবন থেকে অনুমতি মেলায় চার্জ গঠনের পথে আর কোনও বাধা রইল না। তবে নির্ধারিত সময়সীমা আরও বাড়ানোর জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আইনজীবীদের যুক্তি, মাত্র তিনদিনের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার পাতার নথি পর্যালোচনা করা সম্ভব নয়। এর আগে সিবিআই-এর কাছ থেকে কোনও নথি পাননি তাঁরা।
মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, “আরজি কর দুর্নীতির মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারপ্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটানো হচ্ছে। কারা করছে, কেন করছে, সেই প্রসঙ্গে যাচ্ছি না। তবে চার্জশিট জমা পড়ার পরও বিচার শুরু হতে এত দেরি হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট।”
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, এত অল্প সময়ে বিশাল পরিমাণ নথি বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “অনেক দেরিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখন কিভাবে এত কিছু সামলাবেন, সেটা আপনাদের দেখার বিষয়। আমি কিছু শুনব না।” এই নির্দেশের ফলে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই চার্জ গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে সিবিআই। এখন দেখার, মামলার পরবর্তী ধাপে কোন নতুন মোড় আসে।
অন্যদিকে, আরজি করে কর্মরতা সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে সরানো হল। সঙ্গীতা ঘোষের নামে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সঙ্গীতা ঘোষের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, আরজি করে দুটি মামলায় সন্দীপ ঘোষের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলে রয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।