ইএম বাইপাসের ব্যস্ত রাস্তায় প্রকাশ্যে এক তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা ( Murder ) করল এক নাবালক। ঘটনার পরপরই প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ অভিযুক্ত কিশোর-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ( Murder )। তবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—চিরদিনের মুখচোরা, বাড়ির বাইরে কম বেরনো এক কিশোর কীভাবে এমন ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটাল ( Murder )?
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে পারিবারিক অশান্তি ও পরকীয়ার তত্ত্ব। জানা গিয়েছে, নিহত তরুণী অভিযুক্ত নাবালকের বাবার প্রেমিকা ছিলেন। বাবার সম্পর্কের কারণেই তার মনে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। সেই রাগ ও হতাশা থেকে সে ভয়ংকর এই হামলা চালিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ধৃত কিশোর বরাবরই চুপচাপ স্বভাবের ছিল। স্কুল ছাড়া বিশেষ বাইরে বের হতো না, কারও সঙ্গে ঝগড়া তো দূরের কথা, কথাও বলত খুব কম। এমন ছেলেই কীভাবে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে হতবাক সবাই।
মনোবিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির মধ্যে বেড়ে ওঠার ফলে নাবালকের মনে দানা বেঁধেছিল অপ্রকাশিত রাগ ও ক্ষোভ। ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি হয়তো তাকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়, যার ফলে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই হিংসাত্মক কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে। কীভাবে ও কেন এমন ভয়ংকর ঘটনা ঘটল, তার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণে নেমেছে তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি গাড়ি থেকে নামতেই রোফিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এক কিশোরসহ কয়েকজন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও আততায়ীরা ধাওয়া করে রোফিয়াকে। তবে ঘটনাস্থলেই তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত ১৬ বছরের কিশোর স্বীকার করেছে, নিহত তরুণীর সঙ্গে তার বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই এই নৃশংস হামলা চালায় সে। বাবার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে গাড়িতে গোপনে জিপিএস ডিভাইস লাগিয়েছিল কিশোর। বৃহস্পতিবার রাতে বাবার গাড়ি বাড়ি থেকে বেরোতেই তাকে অনুসরণ করতে শুরু করে সে, তার মা ও কয়েকজন আত্মীয়। মেট্রোপলিটন এলাকায় এক রেস্তোরাঁর সামনে বাবার গাড়ি থেকে নামতেই তরুণীর ওপর হামলা চালানো হয়।