অবৈধভাবে আমেরিকা (Illegally Traveling to America) যাওয়ার জন্য অনেক মানুষ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে, একে অপরের সাহায্যে দেশে দেশে যাত্রা করে। এতে তাদের খরচ হয় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা, এবং ২০ ঘণ্টার পরিবর্তে এই যাত্রায় সময় লেগে যায় ২০ দিন বা তারও বেশি। এজেন্টরা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে যাত্রার সুবিধা প্রদান করে, তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা কখনোই সহজ হয় না।
নয়াদিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার জন্য নিয়মিত ফ্লাইটে খরচ হয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং যাত্রা সম্পন্ন করতে ২০ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে, যাদের কাছে এই সহজ উপায় উপলব্ধ নয়, তারা অবৈধ উপায় অবলম্বন করে। তাঁদের ২০ দিনের দীর্ঘ যাত্রার পথ পাড়ি দিতে হয়, যা এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশ, এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া ছাড়াও সীমান্ত অতিক্রমের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত।
আইজিআই বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, অনেক যাত্রী যাদের অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশের উদ্দেশ্য ছিল, তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। যেসব এজেন্টরা এই অবৈধ যাত্রার ব্যবস্থা করেন, তাদের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে এবং সীমান্ত পার করার পথ নিশ্চিত করা হয়। এই নেটওয়ার্কের প্রতিটি লিঙ্ক তার দায়িত্ব পালন করে, কিন্তু পুলিশের মতে, এককভাবে কোনো দেশ এই নেটওয়ার্ক ভাঙতে পারবে না, এজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন।
সম্প্রতি, পাঞ্জাবের মনিন্দর পাল সিং নামের একজন যুবক আমেরিকা যাওয়ার জন্য অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন। তাকে একাধিক দেশ পাড়ি দিতে হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো থেকে আমেরিকার সীমান্তে পৌঁছাতে গিয়ে ধরা পড়ে। তার মতে, কম শিক্ষার কারণে তিনি ভারতে ভাল আয় করতে পারেননি, এবং আমেরিকায় গিয়ে তিনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে বলে আশা করেছিলেন। তবে, তার এই যাত্রায় প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল এবং অনেক দিন ধরে এক জায়গায় বসে থাকতে হয়েছিল, ক্ষুধা এবং তৃষ্ণা সহ্য করতে হয়েছিল।
পুলিশ বলছে, এই ধরনের অবৈধ যাত্রার ক্ষেত্রে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেমন উপগ্রহ, ড্রোন, ও সীমান্তে পুলিশ নজরদারি চালাচ্ছে। অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর জন্য অভিবাসন বিভাগকেও নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে, এবং একে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে, আইজিআই বিমানবন্দরের ক্ষেত্রে, এমন অনেক ঘটনা সামনে আসছে যেখানে যাত্রীরা অন্যের পাসপোর্ট বা ভিসা ব্যবহার করে আমেরিকা বা অন্য দেশে প্রবেশ করেছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রমাণ করে, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।