Extra Marital Affair: হাঁটুর বয়সী মেয়ের সঙ্গে হোটেলের রুমে ফুর্তি অফিসারের! খুঁজে পেতেই বেদম পেটাল পরিবার

হায়দ্রাবাদ: ২০ বছরের ছোট প্রেমিকার সঙ্গে একাকী (Extra Marital Affair) সময় কাটাতে গিয়ে ধরা পড়লেন গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (GHMC) যুগ্ম কমিশনার জানকিরাম। তার প্রেমিকা এবং তিনি পরিবারের হাতে মার খেলেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি, সকাল বেলা হায়দ্রাবাদের ওয়ারাসিগুডা এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে।

জানা গেছে, জানকিরামের স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা তার গতিবিধি নিয়ে সন্দিহান হয়ে ওঠেন। বহুদিন ধরে ফোনে অতিরিক্ত সময় কাটানো এবং স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার কারণে স্ত্রী কল্যাণী তার সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেন। এই সময়েই জানকিরাম তার প্রেমিকাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন, কিন্তু পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হলে, প্রেমিকাকে শৌচালয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন।

যতই লুকানোর চেষ্টা করা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত জানকিরাম এবং তার প্রেমিকাকে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হন কল্যাণী ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা। এরপর, উভয়কে মারধর করে হায়দ্রাবাদ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানকিরামের স্ত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এই মারধরের দৃশ্য ভিডিও করা হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওটি “ঘর কে কলেশ” নামে এক এক্স (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয় এবং ইতিমধ্যেই ১৫ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। সাত হাজারের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে নেটিজেনদের কাছ থেকে। কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, “মেরে জয়েন্ট কমিশনারের জয়েন্ট ভেঙে দিয়েছে,” আবার কেউ লিখেছেন, “বুড়ো বয়সে ভীমরতি, এসব মানুষের লজ্জা হওয়া উচিত।” তবে অনেকেই এই ঘটনায় ওই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের কাজের নিন্দা করেছেন।

এদিকে, ওয়ারাসিগুডা পুলিশ ইন্সপেক্টর আর. সাইডুলু জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও তদন্ত চলছে।

ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি খবর এইসময়।