শুক্লা রায়চৌধুরী, কলকাতাঃ এই বছরটাতে মড়ক যেন লেগেই আছে। একের পর এক নক্ষত্র পতন হচ্ছে।এবার নক্ষত্রপতন হল ফ্যাশন দুনিয়ায়। প্রয়াত হলেন একজন ফ্যাশন আইকন, যার হাতের ছোঁয়াতে সেজে উঠেছিলো গোটা ইন্ড্রেস্ট্রি। বিশ্ববিখ্যাত ওই ডিজাইনারের নাম শর্বরী দত্ত।
ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ যেন জল্পনা বেড়েই চলছে।আচমকা এই ডিজাইনারের রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানা মুনির নানা মত এগিয়ে আসছে। বেশি বয়সেও যৌবন ধরে রাখার নেশাই নাকি প্রাণ খোয়াতে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।পারিবারিক সূত্রে খরব পেয়ে কাড়েয়া থানার পুলিশ ডিজাইনার শর্বরী দত্তের বাড়ি যান। সেখান থেকে তাঁর মৃতদেহ কে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় এন আর এস থানায়।
উল্লেখ্য, কলকাতায় ব্রড স্ট্রিটের বাড়ির একতলায় তিনি একা থাকতেন। ওই বাড়ির দোতলায় থাকেন তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার রাতে একতলার বাথরুম থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে এবিষয় শর্বরী দত্তের ছেলে জানালেন, চলতি সপ্তাহের বুধবার তাঁর সাথে তাঁর মায়ের কোন কথা হয় নি। এদিন রাতে ফোন করে খোঁজ নিতে গেলে, ফোনের কোন উত্তর না পেয়ে নিচে নেমে দেখতে পান তাঁর মা বাথরুমে পড়ে আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মৃতদেহের পাশ রক্ত পড়েছিল। শুধু তাই নয় কানের পাশে একটা ক্ষত ও দেখা গিয়েছিল। এবিষয় ডিজাইনার শর্বরী দত্তের পুত্রবধূ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই শর্বরী দত্ত নাকি হরমোনের ওষুধ খাচ্ছিলেন। হয়ত ওই ওষুধ খাওয়া ফলেই তাঁর পিরিয়ড এর মত রক্ত বেরাত।
এবিষয় ডিজাইনার শর্বরী দত্তের পারিবারিক বন্ধু তথা, অর্থ পেডিক অমল ভট্টাচার্য জানান, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি বিভিন্ন ওষুধ খেতেন শর্বরী। নিজের যৌবন ধরে রাখতে বিভিন্ন হরমোন থেরাপিও নিতেন তিনি। তাহলে কি বিশ্ববিখ্যাত ডিজাইনার শর্বরী দত্তের মৃত্যু হয়েছে ওই হরমোন ওষুধের জন্য? এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বহুদিকে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই ধোঁয়াশা যে কাটবে না তা বলাই বাহুল্য।