মণিপুরের সেনাপতি জেলার চাঙ্গোবুং গ্রামে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বিএসএফের (BSF) একটি বাস খাদে পড়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় তিন বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও আটজন আহত হয়েছেন, যাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসে বিএসএফের (BSF) মোট পনেরো সদস্য ছিলেন। তাঁরা চাঙ্গোবুং এলাকায় কিছু কাজের জন্য গিয়েছিলেন। কাজ শেষ করে ফেরার পথে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার ফলস্বরূপ, ঘটনাস্থলে দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়, এবং আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহতদের চিকিৎসা চলছে এবং তাঁদের অবস্থাও বেশ উদ্বেগজনক।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লা। তিনি মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, মণিপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য বহু বিএসএফ কোম্পানি মোতায়েন রয়েছে। রাজ্যে হিংসার কারণে আধা সেনা সদস্যরা সবসময় তৎপর থাকেন, কিন্তু এ ধরনের দুর্ঘটনা আবারও প্রমাণ করছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্যও প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের বিপদের সম্মুখীন হতে হয়।
মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত, যেখানে বিভিন্ন সংঘর্ষ ও হিংসা পরিস্থিতির মধ্যে বিএসএফ-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে জনগণের নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করছে, কিন্তু এই দুর্ঘটনা তাঁদেরও নিরাপত্তাহীনতার মুখে ফেলেছে।
এ ঘটনায়, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে আহতদের যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হবে। পাশাপাশি, বিএসএফ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মণিপুরের এই দুর্ঘটনা কেবল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের জন্য এক মর্মান্তিক ঘটনা, বরং এটি রাজ্যের চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মণিপুরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেখানে বাহিনীগুলি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে, সেখানে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আরও গুরুত্ব পাবে।