Rupee Logo: বাজেট থেকে টাকার প্রতীক ₹ বাদ দিল তামিলনাড়ু সরকার! দেশে প্রথমবার এমন ঘটনা

২০২৫ সালের বাজেটের আগে, তামিলনাড়ু সরকার এমন একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা নিশ্চিতভাবেই রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করবে। তামিলনাড়ু সরকার ২০২৫ সালের রাজ্য বাজেটের লোগো (Rupee Logo) থেকে সরকারী রুপির প্রতীক (₹) সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তার জায়গায় তামিল লিপি ব্যবহার করা হবে। এই প্রথম কোনও রাজ্য জাতীয় মুদ্রার প্রতীক প্রত্যাখ্যান করল। এইভাবে, তামিলনাড়ু সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির (NEP) বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান আরও জোরদার করেছে।

তামিলনাড়ু সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে একটি বড় লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় শিক্ষা নীতির (এনইপি) প্রতি রাজ্য সরকারের বিরোধিতাকে আরও জোরদার করে। তামিলনাড়ু সরকার দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে আসছে। রাজ্য সরকার বিশ্বাস করে যে এই নীতি রাজ্যের ভাষা, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর। এই সিদ্ধান্তকে NEP-র বিরুদ্ধে তামিল পরিচয় এবং আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি রাজ্যের ভাষা, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।

তামিলনাডুর ২০২৫ সালের বাজেটের লোগোর (Rupee Logo) ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে স্পষ্ট যে বাজেট থেকে টাকার প্রতীক (₹) অনুপস্থিত। তার জায়গায় তামিল লিপি ব্যবহার করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর এই সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয় যে রাজ্য তার অর্থনীতি এবং আর্থিক নথিতে নিজের পরিচয় বজায় রাখতে চায়। এখন পর্যন্ত কোনও রাজ্য ভাষার ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি।

কেন্দ্রের সাথে দ্বন্দ্ব আরও বাড়বে

তামিলনাড়ু সরকারের এই পদক্ষেপ সাংবিধানিক ও অর্থনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে পারে, কারণ রুপির সরকারী প্রতীক (Rupee Logo) হল একটি মুদ্রা প্রতীক যা সারা দেশে বৈধ। এখন দেখার বিষয় হলো, কেন্দ্রীয় সরকার এবং আরবিআই এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কী অবস্থান নেয়। তামিলনাড়ু সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরও গভীর করতে পারে।

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব

এই সিদ্ধান্ত কেবল রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং এর অর্থনৈতিক প্রভাবও থাকতে পারে। ভারতীয় রুপির (₹) সরকারী প্রতীক (Rupee Logo) ২০১০ সালে ভারত সরকার গৃহীত করে। এবং এটি সারা দেশে স্বীকৃত। যেকোনো রাজ্য কর্তৃক এটি অপসারণ সাংবিধানিক এবং অর্থনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই পদক্ষেপ তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে, কারণ এটি অর্থনৈতিক নীতির প্রতি রাজ্যের স্বাধীনতা দেখানোর একটি প্রচেষ্টাও।