গ্রিন কার্ড (Green Card) নিয়ে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের একটি বক্তব্য অবশ্যই আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিত। ভ্যান্স এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাবে বলেছেন যে গ্রিন কার্ডের অর্থ এই নয় যে কোনও বিদেশী অনির্দিষ্টকালের জন্য আমেরিকায় স্থায়ী হতে পারবেন। তিনি বলেন, এটি আমেরিকায় স্থায়ীভাবে থাকার নিশ্চয়তা দেয় না।
ফক্স নিউজে ‘দ্য ইনগ্রাহাম অ্যাঙ্গেল’-এর উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘গ্রিন কার্ডধারীদের আমেরিকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অধিকার নেই।’ এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয় নয়, এটা জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। এটা হলো আমেরিকান নাগরিক হিসেবে আমরা কাদের আমাদের জাতীয় সম্প্রদায়ে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিই।
ভ্যান্স বলেন, ‘যদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত নেন যে এই ব্যক্তির আমেরিকায় থাকা উচিত নয়, তাহলে সেই ব্যক্তির এখানে থাকার কোনও আইনি অধিকার নেই।’ এটিই গ্রিন কার্ডের (Green Card) সাধারণ অর্থ। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং গ্রিন কার্ডধারী ছাত্র মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় ভ্যান্সের এই বিবৃতি এসেছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ভূমিকা রাখার জন্য খলিলকে আটক করা হয়।
গ্রিন কার্ড হলো আমেরিকান নাগরিকত্বের পথ
গ্রিন কার্ড (Green Card) হলো এক ধরণের মার্কিন স্থায়ী বাসিন্দার কার্ড, যা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশী নাগরিকদের আমেরিকায় বসবাস এবং কাজ করার অনুমতি দেয়। এই ভিত্তিতে, অভিবাসীরাও আমেরিকান নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। গ্রিন কার্ডের সাহায্যে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় আমেরিকায় বাস করেন। আমেরিকায় প্রায় ২৮ লক্ষ ভারতীয়ের গ্রিন কার্ড আছে।
ট্রাম্পের আগমনে বেড়েছে কঠোরতা
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে আমেরিকায় অভিবাসীদের উপর কঠোরতা আরও বেড়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের তাদের দেশে সামরিক বিমানে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ অভিবাসীরা আমেরিকায় থাকার জন্য ভিসা এবং গ্রিন কার্ডের (Green Card) ক্ষেত্রেও কঠোর বিধিনিষেধের সম্মুখীন হচ্ছেন। এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ট্রাম্পের আমলে, অর্থাৎ পরবর্তী চার বছর ধরে, আমেরিকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে থাকা এবং নাগরিকত্ব অর্জন করা সহজ প্রক্রিয়া হবে না।