ভারতের এক নম্বর শত্রু হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) সহযোগী আবু কাতালকে হত্যা করা হয়েছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। আবু কাতাল লস্কর-ই-তৈবা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। তাকে লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদের ডান হাতও বলা হত। বিষয় হলো, যখন আবু কাতাল আক্রমণের শিকার হন, তখন হাফিজ সঈদও তার সাথে ছিলেন। এই আক্রমণে তিনি বেঁচে যান।
আবু কাতালকে ঝিলামে গুলি করা হয়েছিল। কীভাবে হামলাটি চালানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়, তবে জানা গেছে যে এই হামলার পর হাফিজ সইদ (Hafiz Saeed) নিখোঁজ রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, নিজের উপর হামলার আশঙ্কায় তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার মৃত্যু নিয়ে আলোচনা চলছিল, তবে কয়েকটি পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের মতে, হাফিজ সইদ নিরাপদে আছেন এবং লাহোরে আছেন। বর্তমানে এই বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
আবু কাতাল কে ছিলেন?
লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসবাদী আবু কাতাল সিংহির কাজ ছিল জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণা তৈরি করা। সে জম্মু ও কাশ্মীরে অনেক সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। ২০২৩ সালে রাজৌরি সন্ত্রাসী হামলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রও দাখিল করেছিল এনআইএ।
৯ জুন ২০২৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের শিব খোদি থেকে কাটরাগামী একটি বাসে সন্ত্রাসী হামলায় আবু কাতালের নামও উঠে আসে। এই হামলায় সন্ত্রাসীরা বাসে গুলি চালায়। চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে ১০ জন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হন।
আবু কাতাল তার প্রভু হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) নির্দেশে সমস্ত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। আমরা আপনাকে বলি যে হাফিজ সঈদ ছিলেন ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকায় তিনি এক নম্বরে আছেন।
পাকিস্তানে ভারতের শত্রুদের হত্যা করা হচ্ছে
কিছুদিন ধরে, পাকিস্তানে ভারতের শত্রুদের একের পর এক হত্যা করা হচ্ছে। সব আক্রমণ একইভাবে ঘটছে। অজ্ঞাত হামলাকারীরা পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে। পাকিস্তানেও বলা হচ্ছে যে ভারত এই হামলা চালাচ্ছে। এই কারণেই হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) আত্মগোপনে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।