নওয়াজ শরীফের ছেলে হাসান নওয়াজকে (Hasan Nawaz) দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। লন্ডন প্রশাসন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছেলে হাসান নওয়াজকে ২০২৫ সালের জন্য কর খেলাপি ঘোষণা করেছে। তার বিরুদ্ধে দেউলিয়া মামলা আগামী মাসে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
লন্ডন প্রশাসনের গেজেট অনুসারে, হাসান নওয়াজের (Hasan Nawaz) কাছে প্রায় ১ কোটি পাউন্ড (প্রায় ১,১২,১৩,৬৪,০০০ ভারতীয় টাকা) আয়কর পাওনা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে। হাসান নওয়াজের বোন মরিয়ম নওয়াজ পাকিস্তান প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। আগামী মাস থেকে তার সম্পত্তি নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। সরকারি তথ্য অনুসারে, এই কর ২০১৫-১৬ সাল থেকে বকেয়া এবং এখন জরিমানা সহ মোট পরিমাণ প্রায় ১ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে।
Hasan Nawaz, son of Nawaz Sharif, has been declared a “deliberate tax defaulter” in th UK.
UK Revenue and Customs (HMRC) said Hasan Nawaz failed to pay £9.4 million in taxes between April 5, 2015 and April 6, 2016.
The UK tax authority has imposed a £5.2 million penalty. pic.twitter.com/nINKAEcNIl
— Kumail Soomro (@kumailsoomro) March 20, 2025
বিষয়টি কী?
পানামা পেপার ফাঁস মামলায় হাসান নওয়াজের (Hasan Nawaz) নামও উঠে আসে, যেখানে তার এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে কালো টাকা থেকে অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর পর, হাসান নওয়াজ শরীফ লন্ডনে তার একটি সম্পত্তি আলী রিয়াজ মালিক নামে এক পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে ৩৮ মিলিয়ন পাউন্ডে বিক্রি করে দেন। এই ব্যক্তিকেও সন্দেহভাজন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং বলা হয় যে তিনি শরীফ পরিবারের কালো টাকা পাচারে সহায়তা করতেন।
হাসান নওয়াজের (Hasan Nawaz) ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে তিনি সমস্ত কর পরিশোধ করেছিলেন, কিন্তু যখন তাকে অতিরিক্ত আয়কর দিতে বলা হয়েছিল, তখন তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাজ্যের আয়কর বিভাগ বিষয়টি হাইকোর্টে নিয়ে যায়, যেখানে শুনানির পর আদালত হাসান নওয়াজকে দেউলিয়া ঘোষণা করে।
আদালত কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ
যুক্তরাজ্যের আয়কর বিভাগ ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট হাসান নওয়াজের (Hasan Nawaz) বিরুদ্ধে মামলা নম্বর ৬৯৪/২০২৩ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছিল। এই শুনানির পর, যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট হাসান নওয়াজকে দেউলিয়া ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের এপ্রিলে, তার বিরুদ্ধে দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হবে, যার অধীনে আয়কর বিভাগ তার সম্পত্তি বিক্রি করে তার পাওনা আদায় করতে পারে।