মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় (US Election) একটি বড় পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের পথ প্রশস্ত করেছেন। এখন নাগরিকত্বের নথিভুক্ত প্রমাণ ছাড়া ফেডারেল নির্বাচনে ভোটদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্ভব হবে না। ডাকযোগে ভোটদানের নিয়মও সংশোধন করা হবে।
ট্রাম্পের নতুন এক্সিকিউটিভ অর্ডার অনুসারে, নির্বাচনের দিন পর্যন্ত প্রাপ্ত ব্যালটগুলিই গণনায় (US Election) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তার সর্বশেষ আদেশে, ট্রাম্প বলেছেন যে আমেরিকা এখনও পর্যন্ত মৌলিক এবং প্রয়োজনীয় নির্বাচনী নিরাপত্তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে।
ফেডারেল সাহায্য বন্ধের হুমকি
নতুন এক্সিকিউটিভ অর্ডার জারি করার পর, ট্রাম্প প্রশাসন রাজ্যগুলিকে ভোটার তালিকা ভাগ করে নেওয়ার এবং নির্বাচনী অপরাধের (US Election) বিচারের জন্য ফেডারেল সংস্থাগুলির সাথে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। অসহযোগিতা করলে ফেডারেল আর্থিক সাহায্য প্রত্যাহারেরও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি রাজ্যগুলির নির্বাচন আধিকারিকরা ফেডারেল আদেশ অনুসরণ না করেন, তাহলে তাদের জন্য ফেডারেল তহবিল বন্ধ করা যেতে পারে।
BREAKING 🚨 Donald Trump signs by far the most important Executive Order to date securing Future Elections so that the Democrats can’t steal them:
This EO will ensure Federal Funding is cut to any State that refuses to secure Elections 🔥
Such a shame if this went Viral on 𝕏 pic.twitter.com/SXiBHYXo1J
— MAGA Voice (@MAGAVoice) March 25, 2025
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এবং ট্রাম্পের কঠোর ব্যবস্থা
রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণে ভোটাধিকার (US Election) সংস্থাগুলির তীব্র বিরোধিতা এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারেন। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে মার্কিন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
২০২০ সালের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন। নির্বাচনে (US Election) পরাজয়ের পর থেকে, ট্রাম্প প্রকাশ্যে ভোটদান সম্পর্কিত অনেক আইনের বিরোধিতা করে আসছেন এবং বারবার জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন।
‘আগামী সপ্তাহগুলিতে আরও বড় সিদ্ধান্ত’
ট্রাম্প বিশেষ করে ডাকযোগে ভোটদানের বিষয়ে সোচ্চার। তিনি কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই এটিকে অনিরাপদ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এটি জালিয়াতিকে উৎসাহিত করে। তবে, এই বছর নির্বাচনে (US Election) জয়লাভের পর, তিনি এই বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করেন, কারণ এই পদ্ধতিটি রিপাবলিকান নেতা এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মার্কিন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জালিয়াতির ঘটনা বিরল, এর পরিধি সীমিত এবং এই ধরনের ক্ষেত্রে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মঙ্গলবার এক্সিকিউটিভ অর্ডারে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প বলেন, “আগামী সপ্তাহগুলিতে নির্বাচনী সংস্কার সম্পর্কিত আরও অনেক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”