Kerala: বাড়িতে প্রসবের সময় মহিলার মৃত্যু! অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী

৫ এপ্রিল কেরালার (Kerala) মালাপ্পুরমে হোম ডেলিভারির সময় সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে এক মহিলার মৃত্যু হয়। এই মামলায়, পুলিশ পেরুম্বাভুরের বাসিন্দা মৃত মহিলা আসমার স্বামী সিরাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যা এবং প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর সিরাজউদ্দিনকে হেফাজতে নেওয়া হয়, যেখানে মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত রক্তপাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

Malappuram delivery-at-home death case: Husband booked for culpable  homicide and destruction of evidence | Kerala News | Onmanorama

মামলা কীভাবে নথিভুক্ত করা হয়

সিরাজউদ্দিন দাবি করেন যে তিনি আধ্যাত্মিক শিক্ষায় আগ্রহী। জানা গেছে, তিনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার পর, সিরাজউদ্দিন আসমার মৃতদেহ এবং নবজাতককে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানের জন্য পেরুম্বাভুরে নিয়ে যান বলে জানা গেছে। আসমার আত্মীয়রা এতে আপত্তি জানায় এবং পেরুম্বাভুর পুলিশকে জানায়। তার নির্দেশে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ধর্মের নামে কুসংস্কার প্রচার: প্রাথমিকভাবে আসমার মামার অভিযোগের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর, পুলিশ আরও গুরুতর ধারা যুক্ত করে এবং সিরাজউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। নবজাতকটি বর্তমানে কালামাসেরি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। সিরাজউদ্দিন তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণার মাধ্যমে ধর্মের নামে কুসংস্কার প্রচার করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশ তদন্ত করছে

৫ এপ্রিল মালাপ্পুরমের (Kerala) চাট্টিপারাম্বুতে তার বাড়িতে একটি সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর আসমা মারা যান। পুলিশ সন্দেহ করছে যে অন্যান্য ব্যক্তিরাও এই ডেলিভারিতে সহায়তা করেছে এবং জড়িতদের সনাক্ত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে। মালাপ্পুরম জেলা পুলিশ প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে যারা চিকিৎসা তত্ত্বাবধান ছাড়াই প্রসব পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আসমার পরিবারের সদস্যদের শীঘ্রই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

വീട്ടിലെ പ്രസവത്തിനിടെ മരണം; യുവതിയുടെ ഭർത്താവിനെതിരെ നരഹത്യാക്കുറ്റം  ചുമത്തി - Deshabhimani

এটি ছিল মহিলার পঞ্চম প্রসব

পরিবারের মতে, এটি ছিল মহিলার পঞ্চম প্রসব। সিরাজউদ্দিনের চাপে, বাড়িতেই ডেলিভারি করা হয়েছিল। আসমার প্রথম তিনটি প্রসব হাসপাতালে হয়েছিল। চতুর্থ ডেলিভারিটিও বাড়িতেই হয়েছিল। প্রতিবেশী এবং স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা আসমার গর্ভাবস্থা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না বলে জানা গেছে। এর ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে যে আসমাকে প্রসবপূর্ব যত্নের জন্য চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল না।