বেঙ্গালুরুতে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের (Karnataka) প্রাক্তন পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) ওম প্রকাশের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার এইচএসআর লেআউটের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত তাঁর বাসভবনের নিচতলায় ৬৮ বছর বয়সী এই প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর স্ত্রী পল্লবী দেবীকে খুনের সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
রক্তে ভেজা মেঝে, উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত ছুরি
পুলিশ সূত্রে খবর, ওম প্রকাশের মৃতদেহ যে স্থানে পাওয়া গেছে, সেখানকার মেঝে রক্তে ভেসে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে, যা খুনে ব্যবহৃত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তথ্য প্রাথমিকভাবে প্রাক্তন ডিজিপির স্ত্রী পল্লবী পুলিশকে জানিয়েছেন।
স্ত্রীর দিকে সন্দেহের তীর, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু
তবে, পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ তাঁর স্ত্রীর দিকেই। বর্তমানে, তদন্তকারীরা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। হত্যার পেছনের আসল কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। পুলিশ এই ঘটনার আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমন খবরও পাওয়া গেছে যে অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি ওম প্রকাশ তাঁর ঘনিষ্ঠ কারো কাছ থেকে জীবননাশের হুমকি পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ
পুলিশ ওম প্রকাশের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চলছে।
ওম প্রকাশ: এক নজরে
১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ওম প্রকাশ বিহারের চম্পারণ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। ভূতত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রকাশ ২০১৫ সালের ১ মার্চ কর্ণাটকের ডিজিপি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। একজন প্রাক্তন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তার এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে কর্ণাটকের পুলিশ মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বেশি তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে, খুব শীঘ্রই এই রহস্যের কিনারা করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।