Water Strike: পাকিস্তানের উপর ভারতের আরেক Water Strike! সিন্ধুর পর এবার ঝিলাম নদীর তুলবুল প্রকল্প

পাকিস্তানকে প্রতিটি বিন্দু জলের জন্য আকুল করে তুলতে ভারত আবারও Water Strike-এর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রথমে ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে এবং এখন ঝিলাম নদীর উপর তুলবুল প্রকল্প পুনরায় চালু করার খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানের প্রতিবাদের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্প কী?

তুলবুল নেভিগেশন প্রকল্পটি (Water Strike) উলার ব্যারেজ প্রকল্প নামেও পরিচিত। এটি ১৯৮০-এর দশকে শুরু হয়েছিল। এটি বারামুল্লার উলার হ্রদের মুখে নির্মিত একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো, যার মাধ্যমে ঝিলাম নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর মাধ্যমে ঝিলাম নদীতে জল বন্ধ করে পরিবহন সহজ করা যেতে পারে। ১৯৮৪ সালে, ঝিলাম নদীর উপর উলার হ্রদের মুখে কাজ শুরু হয়। বাম তীরে কংক্রিটের পাইলিং এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পরেই পাকিস্তান আপত্তি জানায়।

ভারত ১৯৮৭ সালে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়

এর উদ্দেশ্য ছিল সারা বছর ধরে নৌচলাচল সুবিধা প্রদান এবং শীতকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এটি অনন্তনাগ, শ্রীনগর এবং বারামুল্লা জেলাগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। সিন্ধু জল চুক্তির অধীনে ঝিলামে যেকোনো জলাধার সংরক্ষণের (Water Strike) ব্যাপারে পাকিস্তান আপত্তি জানায়। ১৯৮৭ সালের ২ অক্টোবর ভারত পাকিস্তানের আপত্তি মেনে নেয় এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে প্রকল্পটি স্থগিত রয়েছে।

পাকিস্তান এই নিয়ে চিন্তিত ছিল

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৩ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। পাকিস্তান দাবি করেছিল যে এর ফলে ঝিলাম থেকে তাদের ভূখণ্ডে জল প্রবাহ (Water Strike) বন্ধ হয়ে যাবে। পাকিস্তান আশঙ্কা করেছিল যে নেভিগেশন লকটি তাদের ট্রিপল ক্যানেল প্রকল্পের (ঝিলাম-চেনাব এবং আপার বারী দোয়াব খাল) ক্ষতি করতে পারে। উপরন্তু, সঞ্চিত জলের ভাগের উপর নিয়ন্ত্রণের হুমকি ছিল। বাম তীরে কংক্রিটের পাইলিং এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ এখনও প্রায় সম্পূর্ণ।

সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত হওয়ার পর ভারতের সামনে সুযোগ

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করে। এখন যদি ভারত তুলবুল প্রকল্পের কাজ শুরু করে, তাহলে পাকিস্তান কোনও আপত্তি তুলতে পারবে না কারণ ভারত আর সিন্ধু জল চুক্তির পক্ষ নয়। অতএব, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য ভারতের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।