Weather Update:বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টি যেন অসুর!দ্বিতীয়ায় জলে ভাসমান কলকাতায়

পল্লব হাজরা, কলকাতা: আগেই ছিল বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)। সোমবার রাত থেকে অতি বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা।মঙ্গলবার ভোররাতে বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিতে দেখা যায় মেঘের ঝলকানি। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র এইরকম জলচিত্র। হাওয়া অফিস সূত্রের খবর বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। যার প্রভাব পড়েছে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ কলকাতায়। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী কয়েক ঘণ্টায় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। হাওড়া হুগলি জেলায় বৃষ্টির প্রভাব পড়লেও দক্ষিণের অন্যান্য জেলাগুলি বাঁকুড়া পুরুলিয়া দুই পশ্চিম মেদিনীপুর তেমন বৃষ্টিপাত হয় নি।

আজ সকাল পাঁচটা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পরিমাণ
কামডহরি(গড়িয়া)- ৩৩২ মিলিমিটার
যোধপুর পার্ক- ২৮৫ মিলিমিটার
কালিঘাট- ২৮০.২ মিলিমিটার
তপসিয়া- ২৭৫ লিমিমিটার
বালিগঞ্জ- ২৬৪ মিলিমিটার
চেতলা- ২৬২ মিলিমিটার
মোমিনপুর- ২৩৪ মিলিমিটার
চিংড়িহাটা- ২৩৭ মিলিমিটার
পামার বাজার- ২১৭ মিলিমিটার
ধাপা- ২১২ মিলিমিটার
সিপিটি ক্যানেল- ২০৯.৪ মিলিমিটার
উল্টোডাঙ্গা- ২০৭ মিলিমিটার
কুদঘাট- ২০৩.৪ মিলিমিটার
পাগলাডাঙ্গা‌ (ট্যাংরা)- ২০১ মিলিমিটার
কুলিয়া (ট্যাংরা)- ১৯৬ মিলিমিটার
ঠনঠনিয়া- ১৯৫ মিলিমিটার
যা ১৯৭৮ সালের পরে এমন পরিস্থিতি কলকাতায়।
কলকাতার নিকাশী ব্যবস্থায় কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রেখেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। গঙ্গায় জোয়ারের ফলে বেড়েছে জলস্তর। লকগেট খুলতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুরকর্মীদের। তবে রাত দশটায় মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে আশাবাদী মেয়র।

উৎসবের মুহূর্তে যথেষ্ট চিন্তায় ব্যবসায়ী থেকে পুজো উদ্যোক্তা। শহরের বেশিরভাগ পুজো মণ্ডপ গুলি এখন জলমগ্ন। হাতে আর কয়েকটা দিন পুজোয় বিক্রিতে ঝাঁপিয়ে পড়বে ব্যবসায়ীরা। তবে বাঁধ সেধেছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার সপ্তাহে দ্বিতীয় কর্মব্যস্ত দিন। শহরের একাধিক রাস্তায় জল জমায় ব্যাহত যান চলাচল। ই এম বাইপাসের( E M bypass) মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের। জল উপেক্ষা করে মা ফ্লাইওভার বেছে নিতে গেলে সেখানেও যানবাহনের লম্বা লাইন। অপরদিকে কলকাতা ও উত্তর শহরতলীর সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড(B T ROAD)। সেখানেও বদলায়নি ছবি। কোথাও হাটু অবধি তো কোথায় কোমর অবধি জল থাকায় স্লথ গতিতে গাড়ির চাকা।


প্রভাব পড়েছে হাওড়া ও শিয়ালাদহ রেল চলাচলে। হাওড়া কার্শেডে জল জমে যাওয়ায় স্টেশনে দেরিতে ঢুকতে ট্রেন। শিয়ালদহ মেন শাখায় পরপর দাঁড়িয়ে একাধিক ট্রেন। যার জেরে সমস্যায় পড়েছে নৃত্যযাত্রী। ইতিমধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শহরে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজন ব্যক্তির।