নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগরঃ জুনিয়র মৃধা মার্ডার কেসে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আজ সল্টলেক সিবিআই দফতরে ডাকা হয় জুনিয়র মৃধার মা-বাবাকে। সেই মতো আজ দুপুরে জুনিয়র মৃধার মা বাবা আসেন সল্টলেকে সিবিআই দফতরে। সূত্রের খবর, জুনিয়র মৃধা মার্ডার কেসে ধৃত প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী এবং জুনিয়র মৃধার মাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই আধিকারিকরা।
সুত্রের খবর, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছিল ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাত ৮ টা ৪৫ নাগাদ সল্টলেক ৯ নম্বর ট্যাংকের কাছে জুনিয়র মৃধার বাইকে এক যুবককে বসে থাকতে দেখা যায়। । এবার সেই ফুটেজ সিআইডি সিবিআইকে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে সেই যুবকটি কে?
জানা গিয়েছে, ওই দিন রাত সাড়ে ৯ টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীকে একটি ম্যাসেজ করে জুনিয়র মৃধা। সেই ম্যাসেজে জুনিয়র মৃধা লিখেছিল, জয়দীপ বাড়িতে নেই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারতে’। তবে ওই ম্যাসেজের উত্তর দেয়নি প্রিয়াঙ্কা।
সেদিন রাত ১০ টা ৪৫ নাগাদ বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের পাশ থেকেই জুনিয়র মৃধার ফোন থেকে একটি ফোন যায় প্রিয়াঙ্কার মোবাইলে। প্রিয়াঙ্কাকে বলা হয়, এই ছেলেটি মারা গিয়েছে। বরাহনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওর দেহ রাখা আছে। তারপর সেখানে যান প্রিয়াঙ্কা চোধুরী।
জুনিয়র মৃধার বাবা সমরেশ মৃধা বলেন, যতদূর জানি আমার স্ত্রীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কাকে সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জুনিয়র মৃধার মা বলেন, “২০১১ সালে জুনিয়র মারা যাওয়ার তিনমাস আগে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারপর আর কথা হয়নি। ওর সঙ্গে আমি কথাই বলতাম না। যেদিন জুনিয়র দেহ এসেছিল সেদিন প্রিয়াংকা এসেছিল। ওকে বলেছিলাম আমায় দেখার কেউ রইল না। ও বলেছিল আমি দেখব তোমায়। প্রত্যেকটা খবর তোমায় দেবো। কে খুন করেছে কে কে আছে।তোমার বাড়িতে কে কে আসে সবকিছু বলব তোমাকে। তারপর আর যোগাযোগ করেনি।”
তিনি আরও বলেন, “ওরা ব্যারাকপুর কোর্টে গিয়েছিল। আজ সিবিআই যা প্রশ্ন করবেন তার উত্তর দেবো। ওকে(প্রিয়াঙ্কাকে) তো কিছু বলব। আমার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। ও সঙ্গ দিতে পারবে না বলে। অন্য কারো মেয়ের সঙ্গে মিশতে দেবে না বলে মেরে ফেলবে। এতো বড় স্পর্ধা হলো কোথা থেকে। যত বড়লোক হোক। আমার ছেলে তোমার কাছ থেকে পয়সা নেইনি। তোমাদের বাড়িতেও যাইনি।”