শান্তনু পান,পশ্চিম মেদিনীপুর: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হল করোনা টিকার মহড়া। এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তিন জায়গায় করোনা টিকা প্রদানের মহড়া হয়েছে বলেই জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। শুক্রবার অর্থ্যাৎ আজ ড্রাই রান তথা মহড়া হচ্ছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পাশাপাশি কেরানীতোলায় অবস্থিত আর্বান ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার এবং খড়্গপুরস্থিত হিজলী গ্রামীন হাসপাতালেও এদিন ড্রাই রান শুরু হয়।
সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই পৌঁছে যাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন। আগে থেকেই ঠিক আছে যে ভোটের বুথভিত্তিক মোডে করোনার ভ্যাকসিন জনসাধারনকে দেওয়া হবে। জনগণনা অনুযায়ী পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় ৫৫ লাখ বাসিন্দা আছেন। তারা সবাই অবশ্য এখনই ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না।
প্রথম পর্যায়ে কেবলমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন। তারপর ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। তারপর ক্রমে ক্রমে ষাটোর্ধ, ৫০ থেকে ৬০ বছর, কো-মরবিডিটি সহ ৫০ বছরের কম এবং সবশেষে ৫০ বছরের কম সকলের মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
পুরোপুরি নির্বাচনী কায়দায় বুথে বুথে ক্যাম্প করে স্বাস্থ্য কর্মীরা ওই ভ্যাকসিন দেবেন। এই দিন এই সম্বন্ধে জেলাশাসক ডাক্তার রেশমি কমল বলেন, ‘নির্বাচনের সময় যেমন বিভিন্ন ধরনের পোলিং ও প্রিসাইডিং অফিসার থাকেন তেমনই এক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বিভিন্ন দায়িত্বে থাকবেন। এজন্য ট্রেনিংপর্বও সম্পন্ন হয়েছে।’
জেলা থেকে গত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর জেলা থেকে কর্মী ও আধিকারিকরা ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন কলকাতায়। আর এদিন তথা বৃহষ্পতিবার জেলায় আশাকর্মী থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষন নিলেন। প্রশিক্ষণ দিলেন জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওয়ান ও টু যথাক্রমে সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী, সুজিত মণ্ডল এবং ওয়ার্ল হেলথ অর্গানাইজেশন তথা হু র প্রতিনিধি শুভজিৎ ভুঁইয়্যা।
শুক্রবার মহড়াতে তিনটি কেন্দ্রেই ২৫ জন করে ৭৫ জনকে বাছা হয়েছে। সবকিছু পরিকল্পনা ঠিকঠাক আছে কিনা তা যাচাই করতেই এধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল করোনার টিকা আশায় খুশির খবর মেদিনীপুর শহর জুড়ে।