১৪ নভেম্বর ভারতে শিশু দিবস (Children’s Day) পালিত হয়। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু শিশুদের মধ্যে ভারতের ভবিষ্যৎ দেখতেন এবং তাদের ভালোবাসতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ, তাই তাদের ভালোবাসা এবং যত্ন নেওয়া উচিত। শিশুরা স্নেহের সাথে পণ্ডিতজিকে “চাচা নেহেরু” বলে ডাকত। কিন্তু আপনি কি জানেন যে নেহরুর জন্মবার্ষিকীর ১০ বছর আগে থেকে শিশু দিবস পালিত হতে শুরু করে? আসুন আমরা আপনাকে বলি কিভাবে শিশু দিবস শুরু হয় এবং কেন এটি পালিত হয়।
যদিও ১৯২৫ সাল থেকে শিশু দিবস পালিত হয়ে আসছে, তবুও এটি কখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। জাতিসংঘ প্রথম ২০ নভেম্বর, ১৯৫৪ তারিখে শিশু দিবস ঘোষণা করে। তবে, বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিন/তারিখে শিশু দিবস উদযাপন করে।

ভারতে শিশু দিবস উদযাপনের সূচনা কীভাবে হয়েছিল?
ভারতে শিশু দিবস (Children’s Day) উদযাপন শুরু হয় ১৯৫৬ সালে। সেই সময় এটি “শিশু দিবস” হিসেবে নয় বরং “শিশু কল্যাণ দিবস” হিসেবে পালিত হত। এই উদযাপনের উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা। ১৯৫৬ সালে, ভারত সরকার শিশুদের কল্যাণের জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করে। তবে, প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন এবং “চাচা নেহেরু” নামে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর, ১৯৬৪ সালে, সংসদে তাঁর জন্মবার্ষিকীকে দেশে সরকারী শিশু দিবস (Children’s Day) হিসেবে পালনের জন্য একটি প্রস্তাব পাস হয়। তখন থেকে, ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস পালিত হয়ে আসছে। এই দিনে শিশুদের অনেক ভালোবাসা দেওয়া হয়।
শিশু দিবস কেন কেবল ১৪ নভেম্বর পালিত হয়?
পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। যখনই তিনি সময় পেতেন, তিনি তাদের সাথে দেখা করতে যেতেন এবং তাদের সাথে কথা বলতেন। তাঁর মৃত্যুর পর, এই ঘটনা বন্ধ হয়ে যায়। তাই, তাঁর জন্মদিনকে শিশু দিবস (Children’s Day) হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যাতে প্রতি বছর শিশুরা তাঁকে তাদের মধ্যে পেতে পারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা বুঝতে পারে। পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর এলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেন।

শিশু দিবস কেন পালিত হয়?
শিশু দিবসের (Children’s Day) মূল উদ্দেশ্য হল শিশুদের গুরুত্ব তুলে ধরা। এই দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে শিশুরা আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ। এটি তাদের অধিকার, যেমন শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার এবং নিরাপদ পরিবেশে বসবাসের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি সুযোগ।
শিশু দিবস আমাদের শিশুদের প্রতি সমাজের দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়: তাদের ভালোবাসা এবং সুরক্ষা দেওয়া। এটি সমাজকে তাদের বিকাশের জন্য কাজ করার কথাও মনে করিয়ে দেয় যাতে তারা সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে এবং বিকশিত হতে পারে।










