নিজস্ব প্রতিবেদন: দিন কয়েক আগেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন। আর বিজেপিতে যোগদানের পরেই দলের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকার কথা স্মরণ করে রাজীব জানান, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে। কিন্তু রাজনৈতিক শত্রু ভেবে হিংসা ছড়ানো অনভিপ্রেত। এমনকী এটা বাংলার সংস্কৃতি নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হাওড়ার ডুমুরজলার সভার দিন বিজেপির কর্মীদের উপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলের দিকে আঙুল তোলেন রাজীব। সোমবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে দলীয় কার্যালয় সাংগঠনিক বৈঠকের পর রাজীব বলেন, ‘গণতন্ত্রের রাজনীতি করার অধিকার সকলের রয়েছে। একজন মানুষ যে কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে, সভা-সমিতিতে, মিছিলে যোগদান করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা তাঁর রয়েছে। কিন্তু, কেউ যদি ভেবে নেয়, বিরোধী দলের কোনও কর্মী-সমর্থক তাদের প্রতিপক্ষ নয়, রাজনৈতিক শত্রু এবং তাঁদের উপর রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করবো, এই জিনিস বাংলার কৃষ্টি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। অতীতে বামপন্থীরা এই ভুল কাজ করে তাদের ভুগতে হয়েছে। বর্তমান শাসকদল কিছু দিন ধরে সেই একই কাজ করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।’
এদিকে দলবদলুদের নিয়ে নানা ভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। সে প্রসঙ্গ টেনে রাজীব বলেন, ‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দল এবং মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর বলা হয়েছিল, বট গাছের ঝরা পাতা। বলা হয়েছিল, সমুদ্রের এক ঘটি জল। তাহলে ওঁরা আজ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত উতলা কেন? আমি তো কোনও নেতৃত্বের নাম নিয়ে কোনও মন্তব্য করিনি? ব্যক্তি আক্রমণে আমি বিশ্বাসী নই।’
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সোমবারই প্রথম হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে আসেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে। সেই নিরাপত্তা বলয় নিয়েই এদিন তিনি দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচিতির পাশাপাশি এদিন দলের আগামী দিনের কর্মসূচির রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনা হয় পরিবর্তন যাত্রা নিয়েও।
বিরোধীদের শত্রু ভেবে রাজনৈতিক হিংসা বাংলার সংস্কৃতি নয়: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
Published on