সীমান্তে গোরু বাঁধা নিয়ে বচসা, বিএসএফের গুলিতে হত যুবক

এখানেই গুলিবিদ্ধ হয়েছিল জসিম মিঞা।

বিক্রম কর্মকার, ত্রিপুরা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু বাঁধা নিয়ে বচসার জেরে বিএসএফ জওয়ানের গুলিতে প্রাণ গেল এক যুবকের। মৃতের নাম জসিম মিঞা(২৪)। পরিবারের দাবি, গোরু বাঁধতে গেলে বাধা দেন জওয়ানরা। তা নিয়ে বচসার জেরেই গুলি চলেছে। যদিও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি সূত্রের দাবি, ওই যুবক গোরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। গন্ডগোলের সময় তিনি বাহিনীর উপর আক্রমণ করেন। তবে এ ব্যাপারে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া ঋষ্যমুখ ব্লকের দেবীপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম। গৃহশিক্ষক হিসেবেই এলাকায় তিনি পরিচিত। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর উত্তেজিত এলাকার বাসিন্দারা গজারিয়া এলাকায় বিলোনিয়া-শ্রীনগরের সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন বিলোনিয়ার থানার পুলিশ ও টিএসআর বাহিনীর জওয়ানরা।

চলছে সড়ক অবরোধ।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সূত্রপাত সীমান্তে গোরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে। ওই এলাকার বাসিন্দা খালেদ মিঞা সকালে গোরু বাঁধতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে যান। অভিযোগ, হঠাৎ বিএসএফ জওয়ানরা এসে তাঁকে গোরু বাঁধতে বাধা দেযন। খালেদ এর কারণ জানতে চাইলে দু’পক্ষের বচসা শুরু হয়। তার মধ্যেই হঠাৎ জওয়ানরা তাঁকে মারতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে খালেদের ছেলে ঘটনাস্থলে এসে বাবাকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গেও বচসা শুরু হয়ে যায়। সেই সময় এক গুলি ছোড়েন বলে পরিবারের অভিযোগ।

হাসপাতালে শেষ চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন জসিম। এদিকে গুলির শব্দ পেয়েই সেখানে ভিড় করতে থাকেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা জসিমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও কর্তব্যরত জওয়ানরা আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। শেষমেশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় বিলোনিয়া হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টাতেও জসিমকে বাঁচানো যায়নি।

Google news