আজ, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫, অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বিবাহ পঞ্চমীর শুভ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হচ্ছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, বিবাহ পঞ্চমীতে ভগবান রাম এবং মাতা সীতার বিবাহ হয়েছিল। মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমরা ব্যাখ্যা করব কেন মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করা হয়, এর তাৎপর্য এবং এর নিয়মগুলি।
মন্দিরের চূড়ায় পতাকা কেন উত্তোলন করা হয়?
মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) উপরে উড়ন্ত পতাকা শক্তি, বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। ছোট বা বড় প্রতিটি মন্দিরের চূড়ায় একটি পতাকা উত্তোলন করা হয়। একটি নির্দিষ্ট কারণে মন্দিরের উপরে একটি পতাকা স্থাপন করা হয়: এটি মন্দিরের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতির প্রতীক। এটি মন্দিরের পবিত্রতার প্রতীক। এটি বিশ্বাস করা হয় যে মন্দিরের উপরে একটি পতাকা ঐশ্বরিক শক্তি প্রেরণ করে। এই কারণে, মন্দিরের উপরে একটি পতাকা স্থাপন করা অপরিহার্য।
মন্দিরে একটি চূড়া স্থাপনের গুরুত্ব
মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে মন্দিরের রক্ষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পতাকা মন্দিরকে অশুভ শক্তি থেকে দূরে রাখে। মন্দিরে ধর্মীয় পতাকা স্থাপন করলে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করতে বাধা পায়। মন্দিরের চূড়ায় পতাকার রঙ এবং আকারও বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। রাম মন্দিরের চূড়ায় উত্তোলিত পতাকাটি গেরুয়া রঙের। এটি ২২ ফুট লম্বা এবং ১১ ফুট চওড়া। রাম মন্দিরের পতাকায় সূর্যের প্রতীক, সূর্যের কেন্দ্রে ‘ওম’ এবং কোভিদার গাছ রয়েছে। এই পতাকাটি অযোধ্যার ইতিহাস এবং সূর্যবংশ রাজবংশের ঐতিহ্যের প্রতীক।
‘শিখর দর্শনম পাপনাসনম’ শ্লোকের অর্থ
মন্দিরের চূড়ায় পতাকা উত্তোলনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মন্দিরের চূড়াটি ভিতরের মূর্তিগুলির মতোই পবিত্র এবং শ্রদ্ধেয় বলে বিবেচিত হয়। যদি কেউ মন্দিরে যেতে না পারেন, তবে কেবল চূড়াটি দেখাই লাভজনক বলে বিবেচিত হয়। “শিখর দর্শনম পাপনাশনম” প্রবাদ অনুসারে, মন্দিরের চূড়াটি দেখলে পাপ নষ্ট হয়।
মন্দিরে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম
ধর্মধ্বজ সর্বদা উঁচু স্থানে, কলসের উপরে, অথবা মন্দিরের চূড়ায় উত্তোলন করা উচিত। পতাকাটি কখনই ছিঁড়ে বা বাঁকানো উচিত নয়। রাতে পতাকা উত্তোলন করা অশুভ বলে মনে করা হয়। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মধ্যে পতাকা উত্তোলন করা উচিত। পতাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তির স্নান করা উচিত এবং বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য নিয়ে তা করা উচিত।










