নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় কনসাল জেনারেলকে খালিস্তানপন্থীদের হত্যার হুমকির জেরে অবশেষ নড়েচড়ে বসল কানাডার জাস্টিন ট্রুডো প্রশাসন। গত ২৬ জানুয়ারি ওই হুমকি দিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। তার প্রেক্ষিতে ওটাওয়া এবং ভ্যাঙ্কুভারে ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকদের জন্য সশস্ত্র প্রহরী নিয়োগ করা হয় শনিবার।
শুক্রবার কানাডার বিদেশমন্ত্রী মার্ক গার্নিউর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তার পরে শুক্রবারই রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলে ট্রুডো প্রশাসন। হত্যার হুমকি নিয়ে ভ্যাঙ্কুভার কনসাল জেনারেলের অফিস দু’টি অভিযোগও দায়ের করে পুলিশে।
কানাডার বিদেশ মন্ত্রককে কূটনীতিক বার্তা পাঠিয়ে ভারতীয় হাই কমিশন ২ তারিখেই বিষয়টি জানায়। সেখানে বলা হয়, ইন্দ্রজিৎ সিং বৈনস নামে এক ব্যক্তি ভ্যাঙ্কুভার কনসাল জেনারেলের অফিসের বাইরে মোদীকে হত্যার হুমকি দেন। আর এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নরেন্দ্র সিং খালসা ফেসবুকেও এক কথা লেখেন। বৈনসের বক্তব্যের ভিডিয়ো পাঠানো হয় পুলিশের কাছে। অতীতে রাজনীতিক ও সেনা জেনারেলদের যে হাল করা হয়েছিল, এ বারও সে ভাবেই মোদীর ‘ব্যবস্থা করা হবে’ বলে মন্তব্য করা হয় ভিডিয়োটিতে। ভারতীয় হাই কমিশন থেকে কানাডার বিদেশমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে গোটা বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক হুঁশিয়ারি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানানো হয়।
দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ডিসেম্বর থেকেই খালিস্তানপন্থীরা কানাডায় সক্রিয়। তারা নানা রকম সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রেখে খালিস্তানপন্ধী নেতাদের মাহাত্ম্য প্রচার করে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে কৃষি আইনের সমর্থনে বিশাল তেরঙা নিয়ে মিছিলও বেরোয় ভ্যাঙ্কুভারের রাস্তায়।