শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: রবিবার বেলদা গান্ধীপার্কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করল বেলদা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটি। উপস্থিত ছিলেন বেলদা গঙ্গাধর একাডেমীর প্রধান শিক্ষক কার্ত্তিক চন্দ্র আচার্য, প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক ননীগোপাল শীট,বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব যুগজিৎ নন্দ,লোক কবি পরেশ বেরা, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি সুভাষ জানা, নৃত্য শিল্পী ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়, শতাব্দী গোস্বামী, বাচিক শিল্পী রত্না দে, চিকিৎসক ডাঃ অংশুমান মিশ্র প্রমূখ।
এদিন প্রকাশিত হয় “একুশে” অণুপত্রিকা। ভারত ও বাংলাদেশের মোট ১৬৬ জন কবি ও লেখকের লেখা স্থান পেয়েছে। বেলদা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কমিটির কর্ণধার এবং “একুশে” পত্রিকার সম্পাদক অখিলবন্ধু মহাপাত্র বলেন, ২০০৬ সাল থেকে বেলদায় একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হচ্ছে।
২০১৭ থেকে বাংলা সাহিত্য চর্চায় অসামান্য অবদানের জন্য ‘একুশে সম্মান’ প্রদান করা হচ্ছে। এবার ‘একুশে সম্মান ২০২১’ প্রদান করা হয় বিশিষ্ট লেখক দীপককুমার মাইতি, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, ছড়াকার ও প্রাবন্ধিক রোশেনারা খান এবং লেখিকা যূথিকা দাস অধিকারীকে।
১৯৫২ এর রক্তঝরা ২১ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯৬১ ‘র শিলচরের ভাষা শহিদদের স্মরণ করেই এদিনের অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন রুস্তি দাস, কালীপদ টুং, বীরেন্দ্রনাথ মহাপাত্র, মৃদুল পাহাড়ি, ছবি পাহাড়ি, বাঙ্ময় মিশ্র। আবৃত্তি পরিবেশন করেন রত্না দে, সূর্য কান্তি নন্দ, প্রেরণা রাণা, অস্মিতা ব্যানার্জি, আকাশদীপ মহাপাত্র প্রমূখ। নৃত্য পরিবেশন করেন শমীক সিনহা, ঈশিতা চট্টোপাধ্যায়, শতাব্দী গোস্বামী।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর সাঁতালি হরফের বই বিতরণ করেন শিক্ষক ভদ্র হেমরম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অণুগল্প কার অসিতবরণ বেরা। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।