রাজীব মুখার্জী,হাওড়া:হাওড়ার টিকিয়াপাড়া বেলিলিয়াস রোডের ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। যেভাবে পুলিশের উপর হামলা হয়েছে তাতে প্রশ্ন শুরু করেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। যদিও এরপরেই কড়া পুলিশ প্রশাসন। ঘটনায় কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি নবান্নের।
রাজ্য পুলিশের তরফে সোশ্যাল মিডিয়াতে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু পুলিশের তরফেও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আর তা উঠতেই নবান্নের তরফে বড় সিদ্ধান্ত।রাতেই সরিয়ে দেওয়া হল পুর-কমিশনার বিজিন কৃষ্ণাকে। ঘটনার পর রাতে নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক ধবল জৈন আপাতত পুরসভার নতুন কমিশনারের পদের দায়িত্ব সামলাবেন।
অন্যদিকে, ঘটনার পরেই রাতে টিকিয়াপাড়া অঞ্চলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী। ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, সবাইকে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে। অন্যদিকে এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাই সতর্ক করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হাওড়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। এমনটাই জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকেলে৷ হাওড়া রেড জোন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে রাস্তায় নামে পুলিশ৷ হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে গিয়ে দেখেন একটি বাজারে ফল কিনতে অনেক লোকের জমায়েত৷ তাদেরকে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বললে, প্রথমে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে৷ এরপরই পুলিশকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ, রেড জোন এলাকায় জমায়েত দেখে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ।
এরপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়।পুলিশের দু’টি গাড়ি ভাঙ্চুর করা হয়৷ আক্রান্ত হাওড়া সিটি পুলিশ৷ এই ঘটনায় ৪ জন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে বলে খবর৷ পুলিশ সেখান থেকে দ্রুত সরে যায়।