খবর এইসময়, নিউজ ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ তার উপর আবার ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউ যা নিয়ে যেমন চিন্তিত সরকার তেমনই চিন্তিত চিকিৎসকমহল। করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তর অভিযোগ সামনে এসেছে, অপর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের জেরে হয়রানির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ ।এমতবস্থায় কিছুটা হলেও আশার আলো জ্বালালো ডিআরডিও-র অ্যান্টি কোভিড ড্রাগ টু- ডিজি (2-DG)।
সোমবার, করোনা ভাইরাসের ওষুধের প্রথম ব্যাচ অ্যান্টি-কোভিড ড্রাগ(2-deoxy,G-Glucose)২ডিওক্সি-জি-গ্লুকোজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন প্রকাশ করেছেন। যেমনটি আগেই জানা গিয়েছে যে এই 2-ডক্সি-ডি-গ্লুকোজ (2-ডিজি) ড্রাগের অ্যান্টি-কোভিড -১৯-এর থেরাপিউটিক ওষুধ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট (INMAS) যৌথভাবে তৈরি করেছে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা(DRDO) ডিআরডিও,এবং হায়েদ্রাবাদে ডাঃরেড্ডির ল্যাবরেটরিজ (DRL) হায়েদ্রাবাদ।
কিভাবে কাজ করবে এই ওষুধ কি সুবিধা পাবেন রোগীরা আসুন জেনে নিন বিস্তারিত-
এই টু ডিজি আসলে (2DG) আসলে কি ?
এই ওষুধটির তৈরি ডিআরডিও ও হায়দ্রাবাদের ডাক্তার রেড্ডি গবেষণাগারে প্রস্তুত হয়েছে প্রায় এক সালের প্রচেষ্টায় এই ওষুধ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে এই 2DG নামের অর্থ (2D-deoxy,G-Glucose)টুডি-ডিঅক্সি,জি-গ্লুকোজ।
করোনার সঙ্গে কিভাবে মোকাবিলা করবে এই ওষুধ ?
DRDO- র তরফে জানানো হয়েছে এই ওষুধ করোনা রোগীদের দ্রুত সুস্থ করবে তাদের অক্সিজেনের প্রতি নির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করবে। এই ওষুধের প্রয়োগে রোগীরা দ্রুত করোনা থেকে মুক্ত হবেন বলেও পরীক্ষায় জানা গিয়েছে বলে দাবি গবেষকদের।
কিভাবে তৈরি হলো এই ওষুধ ?
গতবছর ২০২০ সালে করোনার জেরে যখন লকডাউন শুরু হলো তখন এই ওষুধ প্রস্তুতির কাজ শুরু করে ডিআরডিও ২০২১ সালে করোনার প্রথম ঢেউয়ে যখন দেশ ধুঁকছে, তখনই নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট (INMAS) আইএনএমএএস ও (DRDO) ডিআরডিও এর গবেষকেরা হায়দ্রাবাদ সিসিএমবি সাহায্যে এই ওষুধ পরীক্ষা করেন পরীক্ষালব্ধ ফল গবেষকরা বুঝতে পারেন করোনা মোকাবিলায় এই ওষুধ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে এরপর বিসিসিআই ও সি ডি এস ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ওষুধের পরীক্ষার অনুমতি দেয়।
কতজনের উপর এই ওষুধের ট্রায়াল’ হয়েছে ?
পিআইবি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে হায়দ্রাবাদের ডাক্তার রেড্ডি গবেষণাগারে করুণা রোগীদের ওপর এই ট্রায়াল’ হয় তাতে সাফল্য মেলে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা রোগীদের উপরেই ওষুধ প্রয়োগ করা হয় পরে বিভিন্ন রাজ্যের শতাধিক করোনা রোগীদের ওপর এর প্রয়োগ করা হয়।