নিউজ ডেস্ক,খবর এইসময়ঃ আচ্ছা স্বর্ণপ্রেমীরা, আপনারা তো বিভিন্ন সময়ে সোনা কেনেন তাই না! আচ্ছা যে সোনার অলঙ্কারটি কিনছেন সেটা খাটি কিনা জানেন? সম্পূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতেই কি বহুকাল ধরে সোনা কিনে চলেছেন ? একবারও জানতে ইচ্ছে হয় না, যা কিনছেন আপনি তার বিশুদ্ধতা কতটা? কিংবা তা কি আদৌ বিশুদ্ধ? না নকল?
কিভাবে চিনবেন বিশুদ্ধ সোনা ?
আসলে,সোনার বিশুদ্ধতা জানার জন্য সোনার হলমার্ক থাকাটা জরুরি। যা নিয়ে এখন চর্চা হচ্ছে সারা দেশ জুড়ে। সোনার বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আর সে জন্যই এই পরিকল্পনাটি আপাতত ২২৫ জেলায় কার্যকর হবে। হলমার্ক হল সোনার বিশুদ্ধতার সার্টিফিকেট। যা থাকলে আগামী দিনেও আপনি স্ট্যান্ডার্ড দামে সোনা বিক্রি করতে পারবেন। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হবেন না। এবং সোনা যে খাটি সেটা নিশ্চিত করা যাবে। আজ থেকে জুয়েলারি দোকানে ১৪, ১৮ ও ২২ ক্যারেটে সোনা বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২০, ২৩ ও ২৪ ক্যারেটের সোনাকেও হলমার্কের জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সোনার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে হলমার্ক করাটা জরুরি,যা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে । গত জানুয়ারি মাসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল হলমার্ক চালু করার। তবে ব্যবসায়ীরা আরও কিছুদিন সময় চাইলে তা পিছিয়ে যায়। আগে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে হলমার্কিং প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু এখন আরও বেশি মাত্রায় হলমার্ক কার্যকর হবে। অনেক দিন থেকেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছুটা পিছিয়ে যায়। এবার সরকারি ভাবে হলমার্ক কার্যকর হল।
এদিন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল টুইট করে জানিয়েছেন, গ্রাহকদের আরও সুরক্ষা এবং তৃপ্তি দেওয়ার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। আপাতত ২২৫ জেলায় ১৬ জুন থেকে এই নিয়ম জারি হচ্ছে। ভোক্তা বিষয়ক সম্পাদক লীনা নন্দন বলেন, সোনার হলমার্ক ধীরে ধীরে সর্বত্র জারি হবে। এতে সুরক্ষা পাবেন গ্রাহকরা।
কোন ক্ষেত্রে ছাড়?
স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত বাধ্যতামূলক নয় হলমার্ক। যেসব জুয়েলার্সের আয় ৪০ লাখ ডলারের নীচে তারা ছাড় পাবেন। যারা বাণিজ্য নীতির আওতায় সোনা রফতানি করেন তারাও আপাতত এই প্রকল্পের বাইরে। এছাড়া ঘড়ি, কলম ইত্যাদি ক্ষেত্রে সোনার হলমার্ক বাধ্যতামূলক হবে না জানিয়েছে সরকার।
ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস ২০০০ সাল থেকে সোনার গয়নার হলমার্ক স্কিম চালিয়ে আসছে। ভারতে প্রায় ৪ লক্ষ জুয়েলার্স রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৮,৮৭৯ টি বিআইএস অনুমোদিত। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত বার্ষিক ৭০০-৮০০ টন সোনা আমদানি করে।