খবর এইসময়,নিউজ ডেস্কঃ আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদল হতে পারে। আর সেই রদবদলে তারুণ্যের উপর জোর দেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তৃণমূলের সঙ্গে তথাকথিত ‘চুক্তি’ শেষ হলেও ঘাসফুলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং সংগঠনে ছোট-বড় পদক্ষেপের সঙ্গে এখনও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
তাঁর মতামতকে মান্যতা দিয়েই তৃণমূলের সাংগঠনিক স্তরে রদবদলের ক্ষেত্রে তারুণ্যকে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক পদে যে রদবদল হতে চলেছে, সেখানেও যুবাদের উত্থানের ইঙ্গিত মিলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অতিসম্প্রতি দলে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি চালু করেছেন মমতা। ফলে যে মন্ত্রীরা জেলা সভাপতির পদেও রয়েছেন, তাঁদের সেই পদ খোয়ানোর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রদের সংগঠনে গুরুত্ব কমতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এই শূন্যস্থান ভরতে যুবদের দলের মূল সংগঠনে নিয়ে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরকে মতামতকেই মানত্য দিচ্ছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
জানা যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচন আর তিন বছর বাকি, তাই এখন থেকে জেলা সংগঠনকে লোকসভা বিন্যাসে ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় বারাসত, বনগাঁ, দমদম, ব্যারাকপুর কেন্দ্র-সহ আরও অনেক কেন্দ্র আছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এভাবে সাংগঠনিক স্তরকে ঢেলে সাজাতে চলেছে তৃণমূল।
কেমন সেই বিন্যাস? যেমন ধরা যাক উত্তর ২৪ পরগনার কথা। এই জেলায় বারাকপুর, দমদম, বারাসত, বনগাঁ-সহ আরও লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে এই সব কেন্দ্রই তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের অন্তর্গত। ক্ষমতার বণ্টনের মাধ্যমে এ বার গোটা জেলা সংগঠনকে লোকসভা আসনের ভিত্তিতে ছোট ছোট জেলা সংগঠনে ভাগ করে দিতে পারে তৃণমূল।