পল্লব হাজরা, বরাহনগর: রক্ত হল মানব দেহে এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা কোন কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করা সম্ভব নয়। থ্যালাসেমিয়া, দুর্ঘটনায় আহত রোগী অথবা দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় করতে প্রয়োজন হয় রক্তের। মানুষ মানুষের পাশে থেকে এই মহৎ কার্যের ফলে মুমূর্ষু রোগী পেতে পারে এক নতুন জীবন। আর এই মুমূর্ষু রোগীদের নতুন জীবন দানে অঙ্গীকারবদ্ধ বরাহনগরের ‘হাওয়া সকাল ।’
একেতে করোনাভাইরাসের দাপট তার ওপর আবার গরমের দাবদাহে রক্তের চরম সঙ্কট। রক্তের এই সঙ্কটকালে চাহিদা মেটাতে ২৫শে জুলাই, রবিবার ‘থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’এবং ‘হাওয়া সকাল’এর যৌথ উদ্যোগে বরাহনগরে আয়োজিত হলো রক্তদান শিবির। সাথে সাথে সম্বর্ধনা জানানো হয় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিক এবং শ্মশানকর্মী তথা যে সকল যোদ্ধারা প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে মহামারী করোনা যুদ্ধে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।
এদিনের এই রক্তদান শিবিরের শুভ সূচনা করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায়, কো-অর্ডিনেটর দিলীপ নারায়ণ বসু , অঞ্জন পাল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। এদিনের এই রক্তদান শিবিরে মোট ৮৭ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন।
এদিন ‘হাওয়া সকাল’ এর উদ্যোক্তা সৌমিক গাঙ্গুলী জানান, মানুষের পাশে থেকে এর আগেও তারা নানান সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেছেন , আয়লা থেকে ইয়াস -এর মতো ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে গিয়ে ত্রাণ বিলি করা, কালীপূজোয় দরিদ্রদের প্রতি আহারের ব্যবস্থা করা ছাড়াও সারা বছর ধরেই তারা এলাকার মানুষের বিভিন্ন ধরনের সেবা করে থাকে এবং ভবিষ্যতেও মানুষের স্বার্থে এই কর্মকাণ্ড তারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।