খবর এইসময়, নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসেই রাজ্যে বিধানসভার নির্ববাচন এবং উপনির্বাচন পর্ব মিটিয়ে ফেলা হতে পারে। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেই রাজ্যের সাতটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ পর্ব সেরে ফেলা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সব ঠিক থাকলে বিশ্বকর্মা পুজোর পরেই ভোটের আয়োজন করা হতে পরে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।।
দীর্ঘ দিন ধরেই দ্রুত রাজ্যের বকেয়া উপনির্বাচন পর্ব মিটিয়ে ফেলার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিকবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে কথা বলার পাশাপাশি খোদ দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়েও এব্যাপারে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যার ফলে এখন ২ টি নির্বাচন এবং ৫ টি উপনির্বাচন নিয়ে কমিশন নড়েচড়ে বসায় নিজেদের জয় দেখছে শাসক শিবির।
প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের কংগ্রেস ও আরএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার পর খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা মৃত্যু হয়। ফল ঘোষণার পর দেখা যায় প্রয়াত কাজলই জিতেছেন খড়দহে। ভোটে জিতে বিধায়ক হওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে একটু সুস্থ্য হয়ে উঠতেই মৃত্যু হয় গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর- এর।
বিপুল ভোটে জিতেও ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক হওয়ার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দেন। তিনি নিজেই পদত্যাগ করেন। তাই ওই পাঁচটি কেন্দ্রে যে ভোট হবে তা জানাই ছিল। অন্যদিকে, দলীয় সিদ্ধান্তে দিনহাটা ও শান্তিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। তাই উপনির্বাচন হবে ওই দুইটি আসনেও।
সব মিলিয়ে দুই বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচন ও পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হবে। এটা নিশ্চিত যে, তার মধ্যে একটি উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তিনি গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।